ওডেস্ক থেকে অর্থ প্রাপ্তি অনেক সহজ কাজ কারণ এখানে কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে টাকা পাওয়ার। তার একটি হলো পেওনিয়ার । বাংলাদেশে অথবা সেসব দেশে যেখানে পেপাল সুবিধা নেই সেখানে অনলাইনের টাকা পাওয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ পদ্ধতি হচ্ছে পেওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট মাস্টার কার্ড। আসুন পেওনিয়ার মাস্টার ডেবিট কার্ডের আবেদন করার প্রক্রিয়া বিস্তারিত জেনে নেই ।
(প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো – ফ্রিল্যান্সারদের বহু আরাধ্য অনলাইন অর্থ ব্যবস্থা পেপাল আগামী তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশে কাজ শুরু করবে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মুহিত এবং, কোন মাদ্ধম ছাড়া সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্ট এ টাকা আনার ব্যাবস্থা ও চালু হয়েছে। )
বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং সাইট (মার্কেট প্লেস) থেকেও টাকা উত্তোলনের সহজ এবং ঝামেলামুক্ত পদ্ধতি হচ্ছে পেওনিয়ার সাইট কর্তৃক প্রদত্ত একটি ডেবিট মাস্টার কার্ড।
এই পদ্ধতিতে আপনি টাকা খুবই দ্রুত পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে ATM এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারেন। উত্তোলনের পাশাপাশি কেনাকাটাও করতে পারবেন (অনলাইনে এবং আশে পাশের দোকার/মারকেট থেকে। এমনকি এর মাধ্যমে বিদেশে অবস্থিত আপনার কোন আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধব তাদের মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড থেকে আপনাকে টাকা পাঠাতে পারবে।
(চয়েস ব্যাংক (USA) এই কার্ড টা ইস্যু করে, আর লাইসেন্স দেয় MasterCard International Incorporated.)
পেওনার সাইট থেকে সরাসরি এই কার্ডের জন্য আবেদন করা যায় না। এটি পেতে হলে ফ্রিল্যান্সিং যে কোন একটি সাইট (রেন্ট-এ-কোডার, গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার বা ওডেস্ক) অথবা রেফার লিংকের মাধ্যমে আপনার একটি মাস্টার কার্ড পেতে পারেন ।
পেওনিয়ার প্রিপেড ডেবিট কার্ড কি?
এটি অন্য সব ক্রেডিট কার্ডের মতই, এটি একটি বাস্তব কার্ড (ভার্চুয়াল নয়), এটি অন্য সকল প্লাস্টিক কার্ডের মতই কাজ করে, পেওনিয়ার একটি প্রিপেড বা ডেবিট কার্ড আর এরজন্যে আপনার কোন ব্যাংক একাউন্টও থাকা প্রয়োজন নয়। এটি আপনার অডেস্ক অথবা অন্যন্য মার্কেট প্লেসে প্রোফাইলের সাথে সংযুক্ত থাকে আর আপনি আপনার অডেস্ক, ফিভার, ফ্রিল্যান্সার বা অন্যন্য কোম্পানির ইনকাম পেওনিয়ার ডেবিট কার্ডে নিয়ে আসতে পারেন।
কিভাবে পেওনিয়ার মাস্টারকার্ডের জন্যে আবেদন করবেন?
১। প্রথমে এই লিংকে যাবেন। এর পর সাইন আপ করবেন। এতে আপনি প্রথম ডিপোজিটে ১০০ ডলার লোড হইলে ২৫ ডলার পাবেন। উল্লেখ্য পেওনিয়ারের বাৎসরিক চার্জ ৩০ ডলার। এটি আপনার প্রথম ট্রাংজেকশনে কেটে নিবেন। মানে আপনি যদি ১০০ ডলার লোড করেন তাহলে প্রথমেই ৩০ ডলার কেটে নিবে। পরে ৭০ ডলার থাকবে। এর পরে ২৫ ডলার ১ দিন পরে লোড হবে। সো আপনার মোট ডলার থাকবে ৯৫ ডলার। লিংক এইখানেঃ http://goo.gl/ecyT3G
(সতর্কতাঃ আপনার দুইটা পায়ে ধরি আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার না হন বা অনলাইনে আয়ের কোন উৎস না থাকে তবে দয়া এই কার্ড এপ্লাই করে অযথা দেশের ক্ষতি করবেন না)
আপনার বিবরণ দিন, ফর্মটি ভালোভাবে পূরণ করেন আর এরপর আপনি একটি সিকিউরিটি ডকুমেন্ট দাখিল করবেণ। (National ID/Passport or Driving L.)এখানের দ্বিতীয় এড্রেসটি বা ঠিকানাটি হচ্ছে আপনার সেই ঠিকানা যেখানে পেওনিয়ার তাদের মাস্টারকার্ডটি আপনার নিকট পাঠাবে। আপনি এ ঠিকানাটি ব্যবহার করতে পারেন বিল পরিশোধ ঠিকানা হিসেবে অথবা শিপিং ঠিকানা হিসেবেও। ফর্মের তৃতীয় ভাগে, আপনার পাসওয়ার্ড নাম্বার/ড্রাইভিং লাইন্সেস নাম্বার/জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার(ভোটার আইডি যদি থাকে) জানতে চাওয়া হবে।
এপলিকেশন বা আবেদনটি দাখিল করার পর, পেওনিয়ার আপনার বিবরণ যাচাই করে দেখবে আর আপনি যদি অডেস্ক প্রিপেড মাস্টারকার্ড পাওয়ারড্ বাই পেওনিয়ার পাওয়ার যোগ্য হন তবে তারা কার্ড পাঠাতে রাজি হবে।
একবার আপনার আবেদন সম্মতি পেয়ে গেলেই তারা সাধারণ ডাক মাধ্যমে আপনার কার্ডটি আপনার নিকট পাঠিয়ে দিবে।
সাইনআপ করার সময় নাম ঠিকানাতে : . + , এধরনের চিনহ দেয়া থেকে বিরত থাকুন , আর আগে থেকে আপনার একটি কার্ড থাকলে নতুন করে এপ্লাই করা থেকে বিরত থাকুন ।
***কার্ড এপ্রোভ হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে ১ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত অনেক সময় ১ মাস ও লেগে যায় ,
***এপ্রোভ করার আগে এপ্রোভাল ডিপার্টমেন্ট কোন তথ্য চাইলে তা দ্রুত রিপ্লাই করুন ,
ধরুন আপনার ঠিকানা আমার চাচ্ছে এক্ষেত্রে C/o অপশন, স্কুলের নাম বা প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়ার দরকার নাই , শুধু গ্রাম , পোস্ট অফিস, শহর, পোস্ট কোড ইত্যাদি দিবেন ।
২। আপনার কার্ড পাইতে হইলে অবশ্যই ভালো ভাবে সাইন আপ করতে হবে। এই জন্য ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা পাসপোর্টের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে । স্ক্যান কপি স্পস্ট করে করতে হবে।
সাধারনর ওরা রাজি হয়, যখন দেখবে আপনার ওডেস্ক একাঊন্ট এ কিছু টাকা আছে।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে পেওনিয়ার ডেবিট মাস্টারকার্ড পেতে কত সময় লাগতে পারে ?
উত্তরঃ পেওনিয়ার ডেবিট কার্ডটি আপনার ঠিকানায় সাধারণ ডাক দ্বারা পাঠানো হবে(কোন বানিজ্যিক ডাক। যেমনঃ ফেডেক্স কিংবা ইউপিএস-এ নয়) আর এতে আপনার ঠিকানায় কার্ডটি পৌছাতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লেগে যেতে পারে। (অনেক সময় কার্ড আসে না ডাক বিভাগের কারনে)
আরো দ্রুত আনতে পাড়েন ডিইচ এল এর মাদ্ধমে – ৩-৫ দিন লাগবে। এতে গ্যারান্টি আছে। তাই ডিএইচ এল ই ভালো।
প্রশ্নঃ পেওনিয়ার ডেবিট কার্ড -এর মাসিক চার্জ আর উত্তোলন চার্জ কত?
উত্তরঃ ATM থেকে নুন্যতম উত্তোলন চার্জ হবে 3.30 ডলার। আপনার ডেবিট কার্ডের ৩ বৎসরের ৩০ ডলার।
প্রশ্নঃ “পেওনিয়ার” ব্যবহার করে টাকা উঠানোর জন্যা আমি কোথায় এটিএম কেন্দ্র খুঁজে পাবো?
উত্তরঃ আপনি যেকোন এটিএম কেন্দ্র বা বুথ্ থেকে পেওনিয়ার ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা উঠাতে পারেন। এই কার্ডটি মাষ্টার কার্ড লোগো যুক্ত এটিএম বুথ-এ কার্যকর যেমনঃ-ডাচ্-বাংলা ডিবিবিএ্ল, প্রাইম ব্যাংক,স্টেন্ডারড চাটারড ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক -এর এটিএম বুথ। অর্থাৎ যেখানে মাস্টার কার্ড এর লোগো আছে , সেখানেই উত্তোলন করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ আমি কি এই কার্ডটি দিয়ে অনলাইনে ক্রয়ের অথবা খরচের কাজে ব্যবহার করতে পারবো?
উত্তরঃ হ্যা। আপনি এই কার্ডটি দিয়ে অনলাইনে ক্রয় অথবা খরচে ব্যবহার করতে পারবেন। বাড়তি কোন ফি দিতে হবে না।
প্রশ্নঃ আমি কি এই পেওনিয়ার কার্ড দিয়ে আমার দেশের দোকান গুলোতে ক্রয়ের কাজে ব্যবহার করতে পারবো?
উত্তরঃ হ্যা। আপনি এই কার্ডটি দিয়ে যেকোনো দোকান (যেখানে মাস্টার কার্ড এর লোগো আছে) ক্রয় এর কাজে ব্যবহার করতে পারবে। বাড়তি কোন ফি দিতে হবে না। কেনার পর একটা রিসিট পাবেন। মিলিয়ে দেখুন আপনার কেনাকাটার টাকার অঙ্ক ঠিক আছে কিনা। অতপর সিগ্নেচার করে দিয়ে দিন। অনুরুপ একটা রিসিট আপনার সংরক্ষণ এর জন্ন আপনাকে দেয়া হবে।
প্রশ্নঃ পেওনিয়ার ডেবিট মাস্টারকার্ডের চার্জটি কি খুব বেশি নয়?
উত্তরঃ যদি আপনি সপ্তাহে মোটামুটি আয় করে থাকেন, তবে এই খরচটি আপনাকে ভাবাতে পারবে না। অন্তত, এতো ভালো সুযোগ-সুবিধা আপনি খুব নুন্যতম মুল্যে পাচ্ছেন।
প্রশ্নঃ আমি পেওনিয়ারে এপ্লাই করেছি কিন্তু কার্ড পাচ্ছি না কেন?
উত্তরঃ আপনার আইডি কার্ড স্ক্যান করে পাঠানোর পর এপ্রভ হয়ে ১ মাস লেগে যায় তারপর রেগুলার মেইল এ কার্ড আসার সময় হলো ২৫ দিন।সবোচ্চ ৩৫ দিন। সাধারনত আরো আগেই আসে। এর খরচ নেই। ফ্রী। আর খুব দ্রুত কারড আনতে চাইলে ডি এইচ এল এর মাদ্ধমে আনা জাবে।৩ থেকে ৫ দিন লাগবে। খরচ ৬০ ডলার। পারসেল টাকে ট্রেক করা যাবে।
পেওনিয়ার কার্ড আনার জন্য কত টাকা থাকতে হবে একাউন্ট এ?
২০ ডলার এর মতো। (কিছু কম বা বেশি) অনেক সময় কার্ড এ টাকা না থাকলেও ওরা কার্ড পাঠিয়ে দেয়। এটা নির্ভর করে।
প্রস্নঃ আমি ক্লায়েন্ট হিসেবে পেমেন্ট মেথড ভেরিফাই করতে চাই পেওনিয়ার কার্ড দিয়ে। পারবো?
উত্তরঃ ওডেস্ক থেকে বলা হয়, এ সম্ভব নয়। (Debit card, prepaid cards, and virtual cards are not accepted as client payment method.) কিন্তু আসলে সম্ভব
প্রশ্নঃ আমি কিভাবে কার্ড কেন্সেল করবো?
উত্তরঃ আরে ভাই কেন্সেল করবেন কোন দুঃখে? জাই হোক, সরাসরি customer support এ মেইল করুন। আপনার কার্ড এর শেষ ৪ ডিজিট এবং নাম (যা কার্ড এ দেয়া আছে) দিয়ে। ওরা কেন্সেল করবে। বাকি টাকা এ টি এম থেকে তুলে নিতে পারবেন।
আমি কি অন্য Credit card দিয়ে আমার পেওনিয়ার কার্ড লোড করতে পারবো?
হ্যাঁ। পারবেন। যেকোনো Visa@Master card দিয়ে।
কার্ড না ব্যাবহার করলে কি হবে?
কার্ড এ যদি কোন টাকা না থাকে, কোন চার্জ প্রযোজ্য হবে না। Inactive হয়ে থাকবে।লেনদেন করলে Active হয়ে যাবে। একটিভ করার ১৮০ দিনের লেনদেন না করলে block হয়ে যাবে (তার আগে পেওনিয়ার থেকে ওয়ার্নিং লেটার পাঠানো হবে আপনাকে।) এবং আপনাকে কাস্টমার সাপোর্ট এ কথা বলতে হবে।
কার্ড যদি হারিয়ে/চুরি হয়ে যায়?
সাথে সাথে call করুন ওদের কে। 1-646-224-6993 (২৪/৭ দিন খোলা)
পেওনিয়ার কার্ড পাওয়ার আর কি শর্ত আছে?
আপনার বয়স ১৮ হতে হবে। (ব্যাংক একাউন্ট না থাকলেও পেতে পারেন)।
আমি কি অন্নান্য ফ্রিলেঞ্চ মার্কেট প্লেস গুলোতে (elance, freelancer etc) ওডেস্ক পেওনিয়ার কার্ড ব্যাবহার করে টাকা উত্তোলন করতে পারবো?
হ্যাঁ। পারবেন।
এখানে সাইনআপ করুন>>> http://goo.gl/ecyT3G
এ টি এম গুলো কোথায় পাবো?
বলেন কি? রাস্তার মোড়ে মোড়ে এখন এ টি এম পাওয়া যায়
এখানে দেখুন – http://www.mastercard.com/us/personal/en/cardholderservices/atmlocations/index.html
ডলার এর রেট কত করে বাংলাদেশে?
এখানে চেক করে দেখুন – http://usd.fxexchangerate.com/bdt/
———————————————————-
আমি আমার পেওনিয়ার মাস্টার ডেবিট কার্ড কিভাবে লোড করতে পারি?
২ টি উপায় আছে।
১) মাস্টার ডেবিট কার্ড দিয়ে ২) ডিরেক্ট ডেপোজিট
ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ঃ
My Account.
Enter >Username and Password
>”Load Money” সিলেক্ট করুন “Tools” menu থেকে
e-mail address বা card number দিন
>”Continue”> “Credit Card” ট্যাব
যা জানতে চায় দিন আর বলুন কিভাবে আপনি লোড করতে চান।
>”continue”.Confirm করুন> “Save Changes” এ ক্লিক করে।
কনফারমেশন এমেইল পাবেন।২ দিনএর ভেতর লোড হয়ে যাবে।
আপনি যদি Odesk, Freelancer, Fiverr, Elance, Infolinks অথবা মাস্টার কার্ডে ডলার উইথড্র করার সুবিধা দেয় এমন কোম্পানিতে কাজ করে থাকেন তবে আপনার পেওনিয়ার কার্ডটি অ্যাড করে সরাসরি কার্ডে ডলার আনতে পারবেন । এক্ষেত্রে কোম্পানি গুলো ২% চার্জ করতে পারে এজন্য ২৫ ডলার বোনাস পেতে ১০৩ উইথড্র দিবেন । অথবা Google Adsens, Skrill, Bidvertiser Amazon,clicksure অথবা অন্যন্য কোম্পানি থেকে ব্যাংক উইথড্র বা ওয়্যার ট্র্যান্সফারের মাধ্যমে কার্ডে ডলার আনতে পারেন, এজন্য Us Payment Service এর ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার ও রাউটিং নাম্বার আপনার প্রোফাইলের ব্যাংক উইথড্র অপশনে যোগ করুন । Us Payment Service এর ব্যাংক অ্যাড করার সময় কান্ট্রি অবশ্যই U.S.A সিলেক্ট করে নিবেন । ও আপনার আমেরিকান ক্লায়েন্ট চাইলে Us Payment Service এর Bank Of America ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার দিয়ে সরাসরি ব্র্যাঞ্চ থেকেও ডিপোজিট করে দিতে পারবেন ।
কিভাবে পিন পেওনিয়ার কার্ডের পিন পাবো ?
কার্ড চিঠি তে লাগানো থাকে। খুলে নিন। এক্টিভেট করার জন্য PIN কিন্তু চিঠিতে নেই। যা করবেন তা হলো –
WWW.PAYONEER.COM এ যান।
এক্টিভেট ইউর কার্ড (Activate your card)- বাটন টিতে ক্লিক করুন
ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড দিন।
৪ ডিজিট এর নতুন পিন তৈরি করুন। ক্লিক করুন “সাবমিট”
পেওনিয়ার থেকে মেসেজ পাবেন
আপনার কার্ড এক্টিভেট হয়ে গেছে।
কিভাবে পিন বদলানো যাবে?
ক্লিক করুন – MY account
Tools Menu থেকে সিলেক্ট করুন change PIN
যা জিজ্ঞাসা করবে জানান আর নতুন পিন দিন। submit করুন।
কার্ড এর খরচ কেমন? (বিস্তারিত)
প্রথমবার (ইমিডিয়েট লোড সহ) :
ওডেস্ক থেকে উত্তোলন (কার্ড এ টাকা ট্রান্সফার)-২ ডলার
তাৎক্ষনিক লোড – ২.৫ ডলার
পরের বার :
ওডেস্ক থেকে উত্তোলন -২ ডলার
তাৎক্ষনিক লোড – ২.৫ ডলার
(ধরুন সারা মাস কাজ করে আপনি ওডেস্ক থেকে এক বার লোড দিলেন। গেলো ২ ডলার। এখন সব টাকা কার্ড এ চলে এলো। আর ওডেস্ক এ কোন টাকা দিতে হবে না। এখন আপনার খরচ বলতে ATM থেকে উত্তোলন ফি। প্রতিবার।তাই বারে বারে লোড না দিয়ে এক সাথে টাকা তোলা টা ভালো। অবশ্য কিছু বেশি টাকা হলে ফি টা একদম ই গায়ে লাগে না)
এছাড়া :
$১২.৯৫ – Card replacement (কার্ড হারিয়ে গেলে নতুন কার্ড আনা)
$0.৯০ – এটিএম বেলেন্স চেক। (কত টাকা আছে দেখা)
$0.৯০ – এটিএম বেলেন্স ডিক্লাইন।(কার্ডে যা টাকা আছে তার চে বেশি উত্তোলন করতে গেলে)
টাকা না থাকলে উইথড্র দিতে জাবেন না। এটিএম কার্ড গিলে ফেলতে পারে।
(সব চার্জ কাটা হবে তা নয়। যেমন যদি balance check করেন তবে balance check এর জন্য যা চার্জ তা কাটা হবে।)
কার্ড এর লিমিট
কার্ড এর লিমিট হচ্ছে ১০,০০০ ডলার। প্রতিদিন লিমিট হলো ৫০০০ ডলার।
প্রতি উত্তোলনে সরবচ্চ তোলা যাবে ২৫০০ ডলার। আর সরবচ্চ ২৫০০ ডলার এর কেনাকাটা করা যাবে। মোট ৫০০০ ডলার। অর্থাৎ নগদ নিয়ে পারবেন ২৫০০ ডলার, কার্ড দিয়ে কেনাকাটা করতে পারবেন ২৫০০ ডলার (অনলাইন বা সাধারন দোকান গুলো থেকে)
জেনে রাখুন–
প্রতি উত্তোলন এ- ব্যাংক অনুযায়ী লিমিট। যেমন Brac Bank এ লিমিট হলো ২০০০০ হাজার টাকা। Prime Bank এ লিমিট হল ১০০০০ হাজার টাকা। SCB এ ৫০০০০ হাজার টাকা।
এর মানে হলো – ধরুন আপনি ৬০০০০ টাকা তুলবেন। ব্রাক হলে ৩ বার উইথড়্র দিতে হবে। SCB হলে ২ বার।
জেনে রাখুন :
১) ওডেস্ক থেকে টাকা মাস্টার কার্ড এ লোড ২ ভাবে করতে পারেন।
ক) সাধারন লোড – ফ্রী (২ দিন লাগবে)
খ) তাৎক্ষনিক লোড – ২.৫ ডলার – ৫ মিনিট লাগবে লোড হতে। (কেউ বলে ৩০ মিনিট , কেউ বলে ২ ঘণ্টা ইত্যাদি। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বললাম।)
(বলে রাখা ভালো ওখানে আর একটি option আছে যাতে বলা আছে আগামিতে যত লোড করবেন – তা সব তাৎক্ষনিক লোড হিসেবে করতে চান কিনা? Box এ ক্লিক করলে সামনের সব লোড automatic তাৎক্ষনিক লোড হয়ে যাবে।)
(২) পেওনিয়ার ডেবিট মাস্টারকার্ড সম্পর্কে বাংলাদেশে অনেক গুজব রয়েছে।
এডিয়ে চলুন।
———————————————————————-
__লক্ষ করুন__
পেওনিয়ার কার্ডে ১০০ ডলার লোড দিলেই ২৫ ডলার বোনাস পাবেন, ধরুন আপনি Odesk or Freelancer থেকে ১০০ ডলার উত্তোলন করতে চান তবে ১০৩ ডলার উইথড্র দেন কারন Odesk 2$ চার্জ করবে তাই বেশি উইথড্র দিতে হবে ।
————————————————————————
ব্যাক্তিগত ভাবে আমি payoneer ব্যাবহার করি এবং কোন ঝামেলা ছাড়া খুব সহজে উত্তোলন করতে পারছি।
————————————————————————————-
কার্ড হারিতে/চুরি হলে সাথে সাথে পেওনিয়ার এর নাম্বার এ ফোন দিয়ে জানান। ওরা ব্লক করে দিবে। (নাম্বার তাই সাথে রাখুন।(1-646-224-6993) অথবা customar support এ যোগাযোগ করুন দ্রুত (live chat- http://goo.gl/OCmMzw )
——-এছাড়া কার্ড এবং পিন খুব ই সতর্কতার সাথে রাখুন। ———-
সুবিধাঃ
১) সারা পৃথিবির প্রায় সব এটিএম এবং দোকান এ গ্রহনযোগ্য ।
২) পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড আছে ইউ এস ডলার এ। কনভারট করা যায় নিজের দেশের currency তে।
৩) খুব দ্রত উত্তোলন – টাকা আসতে ৫ মিনিট লাগে।
৪) নিরাপদ – খুব ই নিরাপদ, পেপাল এর মত।
৫) শিপিং – ঘরের দরজায় কার্ড দিয়ে যায় বিনামুল্যা।
৬) লোডিং – ইমেইল বা কার্ড নাম্বার দিয়ে ইজি লোড।
৭) অন্য পেওনিয়ার কার্ড থেকে টাকা transfer করা জায়।
8) অন্নান্য Freelance Market place গুলোতে ব্যাবহার করা যাবে।
———————————————————————————————————————-
Payoneer rocs!! সহজতম, সাশ্রয়ীতম, নিরাপদতম, দ্রুততম এক সাথে পাওয়ার কথা না। তবে পাচ্ছেন।
সহজতম: এর চেয়ে সহজ আর কি হতে পারে। টাকা ২ ক্লিক দিয়ে কার্ড এ আনলেন, আর বাড়ির পাশে এ টি এম থেকে উইথড়্র মারলেন। আর টাকা আনতে সময় লাগে মাত্র ৫ মিনিট।
নিরাপদতমঃ প্রায় ই শোনা যায় ব্যাংক এর টাকা আনা নিয়ে প্রব হচ্চে। কিন্তু ডি এইচ এল দিয়ে আনান। ১০০ ভাগ নিরাপদ। এবং টাকা লোড দেয়া মাত্র ই এসে পড়ে। কোন মিস নাই।
দ্রুততম ঃ সহজতম দেখুন
সাশ্রয়ীতমঃ ব্যাংক এ একবারের বেশি উইথড্র তো আপনি দিচ্ছেন না। ৫ ডলার ২ বার কেন খরচ করতে কে চায়। কিন্তু পেওনিয়ার এ উইথড্র ২.৫ ডলার। ( ইমিডিয়েট লোড দিলে টোটাল ৫ ডলার।) তাই আপনি বেশি উইথড্র দিতে পারছেন। আর মাসে একবার টাকা এনে কি চলা শম্ভব? দরকারে কি করবেন? তাই পেওনিয়ার সাশ্রয়ীতম। আর মাসিক ফি ১-৩ ডলার।
আর বিদেশ থেকে প্রোডাক্ট কিভাবে কিনবেন, মানে অনলাইনে কেনা কাটা? লোকাল দোকান/মার্কেট থেকে কার্ড দিয়ে শপিং কিভাবে করবেন? আপনি ক্লায়েন্ট হলে কন্ট্রাক্টর কি কিভাবে পে করবেন? এসব এর উত্তর ও পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড।
——————————————————————————————————————-
আজ এইটুকু। মতামত বা যেকোনো তথ্য জানালে খুশি হবো। সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ।
সর্বশেষঃ পেওনিয়ার থেকে এখন সরাসরি আপনার বাংলাদেশী ব্যাংক একাউন্টে উইথড্র করতে পারবেন , ব্যাংক এশিয়াতে উইথড্র দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাকা এসে যাবে অন্য ব্যাংকে লাগবে ৩ দিন ।