Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Ticker

6/recent/ticker-posts

অনলাইনে টাকা আয়



অনলাইনে টাকা আয় । টার্মটা বেশ জনপ্রিয়, শুধু বাংলাদেশে নয় সারা পৃথিবী জুড়েই । আর এই জনপ্রিয়তাকে পুজি করে জালিয়াতিও হচ্ছে অসংখ্য । এটা ঠিক যে অনলাইনে আয়ের অনেক বাস্তব (লেজিট) সুযোগও রয়েছে । আমাদের মতো দেশের জন্যে তো এটি একটি অপার সম্ভাবনা।

যারা কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র অথবা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর খুটিনাটি জানেন, তারা সহজেই ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে ওয়েবসাইট ডিজাইনিং বা প্রোগ্রামিং এর কাজ পেয়ে যান ।

কিন্তু যারা আপনার আমার মতো আমজনতা অর্থাৎ প্রোগ্রামিং না জানা পাবলিক, তাদের উপায় কি? 

অনেকেই অ্যাডসেন্স নিয়ে চেষ্টা করেন, কিন্তু সত্যিকার অর্থে অ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করা অনলাইনে অন্য যে কোনো মাধ্যম এর চাইতে কঠিন। View this link
 
অনেকে ডাটা এন্ট্রি'র কাজ করেন । কিন্তু ডাটা এন্ট্রিতে অনেক বেশি কম্পিটিশন । আর রেটও অনেক কম । একই কাজ দীর্ঘ সময় ধরে করতে হয় যা আসলেই চরম বিরক্তিকর ।


ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে বাংলাদেশী যারা কাজ করেন তাদের বেশির ভাগই হয় প্রোগ্রামিং নয়তো ডাটা এন্ট্রির কাজ করেন ।
আমি যে লাইনে কাজ করি সেটা হচ্ছে সেলস এন্ড মার্কেটিং । এর মধ্যে রয়েছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সোশাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং ইমেইল মার্কেটিং । সবগুলো কাজই মোটামুটি সহজ এবং কোন টেকনিক্যাল জ্ঞানের প্রয়োজন নেই । তবে ভালো ইংরেজী জানাটা বাধ্যতামূলক । আর যে টাকা পাওয়া যায় তা ডাটা এন্ট্রি'র চাইতে কমপক্ষে দশগুণ বেশি ।


আমি মেইনলি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ করি ।এই কাজটি মোটামুটি সহজ হলেও এর জন্য প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে । আর অবশ্যই অধৈর্য হওয়া চলবে না ।
 

যদি এই লাইনে শুরু করতে চান তাহলে পড়াশুনা শুরু করে দিন । কয়েকটি জনপ্রিয় এসইও ফোরাম আছে যেমন ডিজিটালপয়েন্ট, সাইটপয়েন্ট, এসইওচ্যাট এগুলোতে অংশগ্রহণ করেন । রেগুলার পার্টিসিপেশন আপনার এসইও বেসিক টা তৈরি করে দিবে ।
 
আরেকটা কথা, ভুলেও ভাববেন না যে ৫-১০ দিন পড়াশোনা করেই এস ইও শিখে ফেলবেন । আগেও বলেছি, এখনও বলছি প্রচুর ধৈর্য লাগবে এ পেশায় সফলতা লাভ করতে । কিন্তু টানা ২-৩ মাস যদি পড়াশোনা + নিজের কয়েকটা সাইটের জন্যে কাজ করেন, আমার বিশ্বাস ততোদিনে আপনি একজন এসএও এক্সপার্ট হয়ে যাবেন ।



সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শেখাটা খুব সহজও না আবার কঠিনও না । একটা জিনিস দরকার শুধু, লেগে থাকার মানসিকতা । আপনি যদি আগে কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে না থাকেন, তবে আপনি শুরু করতে পারেন এসইও এক্সপার্ট হিসেবে । কিন্তু এজন্যে আপনাকে সত্যি সত্যি এক্সপার্ট হতে হবে । যতদিন পর্যন্ত আপনি নিজেকে এসইও এক্সপার্ট মনে করতে না পারেন তত দিন পর্যন্ত ভুলেও কোন এসইও কাজে বিড করবেন না । একবার নেগেটিভ ফিডব্যাক পেয়ে গেলে কাটিয়ে উঠাটা অনেক কষ্টকর ।


প্রথমে আপনি কাজ শুরু করতে পারেন নিজের সাইট বা ব্লগ নিয়ে । ফ্রি ব্লগের জন্য ব্লগার এবং ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম বেস্ট । যাদের ব্লগ নেই তারা সহজেই তৈরি করে নিতে পারেন । আপনি যে বিষয়ের উপর লিখবেন সেটা যেন অবশ্যই ইউনিক হয় । আপনি অন্যান্য সাইট থেকে তথ্য নিতে পারেন কিন্তু সেন্টেন্সগুলো অবশ্যই নিজের হতে হবে । অন্যথায় কারো কন্টেন্ট নকল করলে কখনোই আপনি সার্চ ইঞ্জিনে পজিশন পাবেন না
 
আপনার কন্টেন্ট থেকে উপযুক্ত কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন । কিওয়ার্ড হচ্ছে সেই সকল ওয়ার্ড যেগুলো আপনার কন্টেন্টের মধ্যে আছে এবং এই কিওয়ার্ড গুলোর জন্যই আপনি সার্চ ইঞ্জিনে পজিশন পেতে চান । প্রথমে একটু কম প্রতিযোগিতা মূলক কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন । উপযুক্ত কিওয়ার্ড নির্বাচনের জন্য অনেক টুল আছে । একটু কষ্ট করে গুগলে সার্চ দিয়ে বের করে নিবেন ।

এরপর সেই কিওয়ার্ডটির জন্য গুগলে সার্চ দিন । প্রথম দিকের কয়েকটা সাইট নিয়ে একটু রিসার্চ করুন । ঐ সাইটগুলোর পাশে আপনার সাইটটি তুলনা করেন । দেখেন ওদের সাইটে কি আছে যা আপনার সাইটে নেই । এটা হচ্ছে বাহ্যিক দৃষ্টির দেখা । এখন ইয়াহু সাইট এক্সপ্লোরারে ঢুকুন, প্রথম দিকের যে কোন সাইটের এড্রেস কপি করে এক্সপ্লোরারের বক্সে পেস্ট দিন । এর পর এক্সপ্লোর ইউআরএল বাটনে ক্লিক করুন । এই সাইটের দিকে যত ইনকামিং লিংক আছে সবগুলোর একটা তালিকা আসবে । সেই তালিকা দেখেই ঠিক করতে হবে আপনার লিংক বিল্ডিং এর কৌশল ।
 
আপনি ওই তালিকা দেখে ঠিক করতে পারেন কোন কোন সাইট থেকে আপনার লিংক নিতে হবে । তবে সব সাইট থেকেই যে নিতে হবে এমনও না । আপনি যদি ওর চাইতে ভালো কোয়ালি
টির লিংক পান তাহলে গুগল অবশ্যই বাধ্য হবে আপনাকে ভালো পজিশন দিতে ।

সার্চ ইঞ্জিনে উপরের দিকে পজিশন পাওয়ার জন্য মেইনলি যে জিনিসটা দরকার, তা হচ্ছে ব্যাকলিঙ্ক । প্রথমে ব্যাখ্যা করা দরকার ব্যাকলিঙ্ক কি এবং কিভাবে ব্যাকলিঙ্ক অর্জন করা যায় ?
 

ব্যাকলিঙ্ক হচ্ছে অন্যান্য সাইট থেকে আপনার সাইটের দিকে আসা লিঙ্ক । একে ইনবাউন্ড লিঙ্কও বলা হয়ে থাকে ।
 

কিভাবে পাবেন ব্যাকলিঙ্ক?
 


গুগলসহ সকল সার্চ ইঞ্জিন কোন একটি সাইটের ব্যাকলিঙ্ক সংখ্যা এবং এদের কোয়ালিটি বিবেচনা করে রেংকিং দেয় । কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক বলতে বিবেচনা করে কোন সুপরিচিত সাইট থেকে পাওয়া ব্যাকলিঙ্ক অথবা হাই পেজরেঙ্ক ধারী সাইট থেকে পাওয়া ব্যাকলিঙ্ক ।
 
একেবারে নতুন সাইটের জন্য বিনাখরচে ব্যাকলিঙ্ক পাওয়ার বেশ কিছু উপায় আছে । একটা একটা করে ব্যাখ্যা করব ।

আর্টিকেল
 
সার্চ ইঞ্জিনগুলো এখন কন্টেন্ট এর মধ্য থেকে পাওয়া লিঙ্ক গুলো কে বেশী গুরুত্ব দেয় । কন্টেন্ট এর মধ্য থেকে লিঙ্ক পাওয়ার সবচাইতে ভালো উপায় হচ্ছে আর্টিকেল সাবমিশন । আপনার সাইট যে বিষয়ের উপর সে বিষয় এর উপর সে বিষয়ে ২৫০-৩০০ ওয়ার্ডের আর্টিকেল লিখুন । আর্টিকেলের জন্য কোয়ালিটি কোন গুরুত্বপুর্ণ বিষয় না, মোটামুটি শুদ্ধ ইংরেজীতে লেখা হলেই হবে । শুধুমাত্র কিওয়ার্ড যাতে আপনার সাইটের সাথে মিলে সেটা দেখবেন । গুগলে সার্চ দিয়ে যে কোন আর্টিকেল দেখে সেটা রি-রাইট করে নিজের ভাষায় লিখে দিলেও হবে । প্রতিটি আর্টিকেলের সাথে আপনি সর্বোচ্চ দুইটি লিঙ্ক অ্যাড করতে পারবেন । তো সেই লিঙ্কদুটি আপনার প্রয়োজন মত বসিয়ে দিলেই কাজ হয়ে যাবে । একই আর্টিকেল আপনি বিভিন্ন আর্টিকেল সাবমিশন সাইটে সাবমিট করতে পারেন । ৫-৭ টা ভালো সাইটে সাবমিট করলেই যথেষ্ট । ভালো আর্টিকেল সাবমিশন সাইটের মধ্যে রয়েছে ইজিনআর্টিকলস, গোআর্টিকেলস, আর্টিকল ড্যাশবোর্ড, আর্টিকল সিটি এগুলো ।