এসইও, ওয়েব ডিজাইন, ব্লগিং ট্যাগসমুহ: ওয়েব ডিজাইন করুন, ওয়েবসাইট তৈরির পূর্বে, কিধরনের ওয়েব ডিজাইন করা উচিৎ, কিভাবে ওয়েব সাইট তৈরি করতে হয়, সাইট ডিজাইন
আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হন তবে এই পোস্টটি হয়ত আপনার জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েব ডিজাইন সাধারনত বেশ কয়েকটি ধাপে হয়ে থাকে । এখানে আমি ধীরে ধীরে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো যা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য উপকারি হতে পারে।
বাংলাদেশের অনেকেই রয়েছেন যারা কম বেশি ওয়েব ডিজাইন এর সাথে জড়িত কিন্তু সঠিক জ্ঞান এবং দক্ষতার অভাবে তারা এই কাজের মুল্য পায়না। আমি নতুন ওয়েব ডেভলোপারদের কাছ থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মেইল এবং ফোন পাই কিভাবে সুন্দর ব্লগ তৈরি করা যায় । আমি যদি ব্যাস্ত না থাকি তবে ক্ষুদ্র রিভিউ দেওয়ার চেষ্টা করি যখন আমি জিজ্ঞাসা করি আপনার ব্লগের বিষয়বস্তু কি ? তখন লক্ষ করি অধিকাংশ ব্লগের বিসয়বস্তু নির্দিষ্ট নয়, অপ্রাসঙ্গিক ডিজাইন এবং প্রোফেশনালিটির অভাব।
বিষয় নির্বাচনঃ
এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ প্রথমে আপনাকে ওয়েবের বিষয় নির্বাচন করতে হবে যেমন কি ধরনের ওয়েবসাইট আপনি তৈরি করতে চান ?
- ব্যাক্তিগত ব্লগ
- সামাজিক ব্লগ
- বিজ্ঞাপনী ব্লগ
- মার্কেটিং সাইট
- আলোচনা
প্রোডাক্ট সাইট ইত্যাদি অসংখ্য বিষয়ের উপরে ব্লগ নির্মিত হয়ে থাকে এবং এসব বিষয়ের সাথে সম্পর্ক রেখে ব্লগ বা ওয়েবডিজাইন করা হয়ে থাকে।
আমরা যদিও জানি ব্লগ হচ্ছে আমাদের কথা যেখানে আমরা আমাদের মনের অনুভুতি সামাজিকতা, সংস্কৃতি সুবিধা অসুবিধা ইত্যাদি তুলে ধরতে পারি । যদিও এটি সঠিক কিন্তু আবার এটি সম্পূর্ণ ভুল । কারন আপনার ব্লগের ডিজাইনের উপরে নির্ভর করছে কিধরনের বিষয় আপনার ব্লগের জন্য প্রযোজ্য। আপনার ব্লগটি যদি হয় সামাজিক ব্লগ তবে আপনার এই সম্পর্কিত তথ্যই শুধুমাত্র উপস্থাপন করা উচিৎ।
আপনার বিষয় নির্বাচনের উপরেই নির্ভর করছে আপনি কি ধরনের ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। তো চলুন দেখে নেই এইসকল ব্লগের মাঝে ওয়েব ডিজাইনের পার্থক্য কি ধরনের হতে পারে ?
ব্যাক্তিগত ব্লগঃ
ব্যাক্তিগত ব্লগ হচ্ছে আপনার নিজেস্ব ব্লগ যেখানে আপনি আপনার ভাল লাগা, কর্ম বিষয়ক, শখ ইত্যাদি নানান রকমের তথ্য রাখতে পারেন। ব্যাক্তিগত ব্লগে সাধারনত নিজের ভাললাগার রঙ ব্যাবহার করে বিভিন্ন অংশ তৈরি করা হয়ে থাকে। তবে অনেক সেলিব্রিটি রয়েছেন যারা ব্যাক্তিগত ব্লগের মাঝে প্রফেশনালিটিও ফুটিয়ে তোলেন। আপনি নিজের এ্যালবাম রাখতে পারেন, নিজের ছবি দিয়ে হোমপেজ সাজাতে পারেন। একমাত্র আপনার পরিচিত ব্যাক্তিরাই অথবা আপনার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ব্যাক্তিরাই এইধরনের ব্লগের পাঠক।
সামাজিক ব্লগঃ
এখানে সামাজিক ব্লগ বলতে আমি প্রফেশনাল ব্লগকে বোঝাচ্ছি। এধরনের ব্লগ সাধারনত তৈরি করা হয় পাঠক/ ভিজিটরদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে। আপনার পাঠকরা আপনার ব্লগের কোন জিনিসটিকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে । কোন রঙ ব্যাবহার করলে পাঠক সমাদ্রিত হবে, কোন ধরনের টুল তাদের উপকারে আসবে ইত্যাদির উপরে নির্ভর করে সামাজিক ব্লগ তৈরি করা হয়ে থাকে। এককথায় সম্পূর্ণ পাঠকদের চাহিদার এবং ভালোলাগার উপরে নির্ভর করেই এধরনের ব্লগ তৈরি করা হয়।
বিজ্ঞাপনী ব্লগঃ
বিজ্ঞাপনী ব্লগে সামাজিক ব্লগের সকল উপাদানই উপস্থিত থাকতে পারে । কিন্তু এখানে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় বিজ্ঞাপনকে । কিভাবে বিজ্ঞাপন সমুহকে পাঠকের খুব কাছাকাছি আনা যায়, কিভাবে ব্লগ ডিজাইন এর পাশাপাশি সামঞ্জস্যপূর্ণ বিজ্ঞাপন যুক্ত করা যায়, কিভাবে বিজ্ঞাপনী কোডসমুহকে ম্যানেজমেন্ট করা যায় ইত্যাদি। অনলাইনে যারা ব্লগ থেকে বিজ্ঞাপন ব্যাবহার করে অর্থ উপার্জন করতে চান তারা এধুরনের ব্লগ ডিজাইনের উপরে বেশি জোর দেওয়া উচিৎ । আমি গত বছর আমার ব্লগের বিজ্ঞাপনসমূহকে সুন্দরভাবে সাজিয়েছি ফলে আমার বিজ্ঞাপনী আয় পরের সপ্তাহে দিগুন হয়ে যায়।
মার্কেটিং সাইটঃ
মার্কেটিং সাইট যদিও বাংলাদেশে জনপ্রিয় নয় তারপরেও আপনি বিশ্বব্যাপী এর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে পারলে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। মার্কেটিং সাইট গ্রাহক সন্তুষ্টির উপরে নির্ভর করে আপনার সাইট এক্ষেত্রে আপনার একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক প্রফেশনাল হতে হবে। মার্কেটিং সাইট ডিজাইন করতে হবে সম্পূর্ণ প্রফেশনাল ভাবে। এতোটুকু কমতি আপনার সাইটে প্রভাব ফেলতে পারে।
পরিশেষে, একটি উদাহরন দেই, এই বিষয়টি অনেকটা ড্রেস ম্যাচিং এর মত । আপনি যদি প্রকৃতি নিয়ে ব্লগ তৈরি করতে চান তবে আপনার ব্লগের ব্যানার এবং অন্যান্য উপাদান সমুহকে প্রকৃতির মত সবুজ বর্ণ দিয়ে সাজানো উচিত।
অনেকেই ব্লগের এই সব কিছু বিষয়কে একত্র করে ফেলেন ফলশ্রুতিতে ব্লগ এবং বিষয়বস্তুর মাঝে অনেক ব্যাবধান তৈরি হয় এবং পাঠক বিরক্ত হয় মনে রাখা ভাল এধরনের প্রজেক্টকে সার্চ ইঞ্জিন পছন্দ করেনা এবং অধিকাংশই বিফলে যায়।