Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Ticker

২২ টি ট্রিকস + ১টি বোনাস, যা একজন কম্পিউটার কিবোর্ড নিনজা মাস্টার হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। [অভিজ্ঞরা না জানলেও ক্ষতি নেই]

-------------------------- بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ --------------------------
সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি সবাইকে আমার সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের টিউন ।
আমরা অধিকাংশ কাজ কম্পিউটারের মাউস দ্বারা করি। কিন্তু আসলে আমরা জানিনা একজন প্রফেশনাল হতে গেলে মাউসের পরিবর্তে কিবোর্ড ব্যবহারে আমাদের কতটা দক্ষতা প্রয়োজন। কম্পিউটারের কিবোর্ড মূলত এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে কেউ নিজের হাতের দিকে না থাকিয়ে টাইপ করতে এবং বিভিন্ন কাজের শর্টকাট ব্যবহার করতে পারে। শর্টকাট মানেই হলো দ্রুততম সময়ে কাজ করা করা। আজকের এই টিউন শেষে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে শর্টকাট ব্যবহার করে আপনি ডকুমেন্ট রিলেটেড কমন কাজগুলো করতে পারবেন যা সচরাচর আপনি মাউস দিয়ে করেন। আপনি কিভাবে চালু থাকা উইন্ডোগুলোতে সুইচ করতে করতে পারবেন এবং সহজে বন্ধ করতে পারবেন। আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজিং কিভাবে দ্রুত করতে পারবেন এবং বোনাস হিসাবে সব শেষে থাকছে কিভাবে আপনার কম্পিউটারে ইনস্টল করা সফটওয়ারগুলোর জন্য হট কি নির্বাচন করবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

কম্পিউটারের ২২ টি কিবোর্ড ট্রিকস, যা আপনাকে পরিণত করবে একজন কিবোর্ড মাস্টার হিসাবে

এই ব্যাপারটি আপনারা হয়তো সবাই কম বেশি জানেন। কিন্তু সবগুলো ট্রিকস হয়তো আপনার সবাই জানেন না। কিন্তু এগুলো জানা খুব প্রয়োজন বলে আমি খুব সহজভাবে কিবোর্ড ট্রিকসগুলো উপস্থাপন করছি। আপনি নিচের চিত্রটি ভালোভাবে অনুশীলন করুন।




বুঝতে সমস্যা হলে আমাকে জানাতে ভুলবেন না।

কিভাবে আপনার প্রোগ্রামের জন্য হট কি নির্বাচন করবেন।

জানি এই ব্যাপারটিও অনেকেই জানেন। তবুও যারা জানেন না তাদের জন্য বলছি। আপনি চাইলে আপনার যেকোন প্রোগ্রামের জন্য একটি হট কি নির্বাচন করতে পারেন। যাতে পরিবর্তি সময়ে আপনি শুধুমাত্র আপনার কম্পিউটারের কিবোর্ড চেপে আপনার কাঙ্খিত প্রোগ্রাম চালু করতে পারেন। বুঝতে পারছেন না হয়তো অনেকেই। তবে চলুন উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে বলছি।
ধরুন আমার সব সময় ডিকশনারী ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়। এখন আমি ইন্টারনেটে কাজ করার সময় আমার একটি শব্দের অর্থ জানা প্রয়োজন হলো। তাহলে অবশ্যই আমাকে ব্রাউজার মিনিমাইজ করে সব প্রোগ্রামগুলো থেকে ডিকশনারী চালু করতে হবে। কিন্তু আমি চাই কিবোর্ডে কয়েকটি বাটন চাপলেই যেন ডিকশনারীটি চালু হয় (যেমন ধরুন Ctrl + Alt + D)।
একাজের জন্য আপনি আপনার ডেস্কটপে প্রোগ্রামটির আইকোন বা প্রোগ্রাম ফাইল থেকে আপনার কাঙ্খিত প্রোগ্রামের আইকনের উপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে Properties অপশন সিলেক্ট করে এবং Shortcut ট্যাবটি সিলেক্ট করুন। তাহলে নিচের মতো উইন্ডো দেখতে পাবেন এবং চিহিৃত জায়গায় আপনার পছন্দের শর্টকাট দিয়ে দিন।

না পারলে আমার টা দেখুন। আমি দিয়েছি Ctrl + Alt + D।

এখন OK প্রেস করে বেরিয়ে আসুন। আপনার কাজ শেষ। এবার কিবোর্ড চেপেই আপনি আপনার যেকোন প্রোগ্রাম চালু করতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

টিউনটিতে অনেক ইংরেজি শব্দ বাংলায় লিখেছি, আপনারা বিষয়টা কে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। তাছাড়া টিউনটি বুঝতে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সবাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।
সৌজন্যঃ ব্লগার নিশাত