Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Ticker

6/recent/ticker-posts

কল অফ ডিউটি – মর্ডান ওয়ার ফেয়ার ৩

কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল। অনেক অনেক এবং অনেক দিন পরে লিখছি, আর এ জন্য প্রথমেই আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই। লেখাপড়া, অফিস দুটোর চাপেই জীবন প্রায় শেষ। সময় বের করা খুবই কষ্টের। যাই হোক আসুন দেখি আজকে আপনাদের সামনে কি নিয়ে এলাম;
আপনাদের মনে আছে, নভেম্বর ২০০৭ এ বের হওয়া কল অফ ডিউটি – মর্ডান ওয়ার ফেয়ার গেমটির কথা? বের হবার পর পরই গেমিং জগতে বেশ আলোড়ন ফেলে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায়, ২০০৯ এ বের হয়, কল অফ ডিউটি – মর্ডান ওয়ার ফেয়ার ২ গেমটি।

এবার, ইনফিনিটি ওয়ার্ড (Infinity Ward) ডেভেলপ করছে, এই সিরিজের তৃতীয় গেম, কল অফ ডিউটি – মর্ডান ওয়ার ফেয়ার ৩, যাকে MW3 নামেও ডাকা হচ্ছে। মূলত ফার্স্ট পারসন শুটিং গেম হলেও কল অফ ডিউটি – মর্ডান ওয়ার ফেয়ার এর আগের গেম গুলোতে ছিল বেশ কিছু চমক, যা ৮ই নভেম্বর ২০১১ তে বের হতে যাওয়া এই মর্ডান ওয়ার ফেয়ার ৩ তে আশা করা যাচ্ছে।


আগেই বলা হয়েছে, গেম টির ডেভেলপ করছে ইনফিনিটি ওয়ার্ড (Infinity Ward), এবং এতে সাহায্যকারী হিসেবে থাকছে, স্লেজহ্যামার গেমস এবং রেভেন সফটওয়্যার।

কল অফ ডিউটি – মর্ডান ওয়ার ফেয়ার ৩ গেমটি হবে, কল অফ ডিউটি সিরিজের অষ্টম এবং মর্ডান ওয়ার ফেয়ার সিরিজের তৃতীয় গেম।
কাহিনীঃ
গেমটি নিয়ে প্রচণ্ড পরিমাণের রাখ ঢাক হবার জন্য গেমের কথা খুব কমই প্রকাশ পেয়েছে। তবে এটা জানা গেছে, এই গেমটি তে আপনাকে পৃথিবীর প্রায় ১২ টি বড় বড় শহরে খেলতে হবে, যার মধ্যে নিউইয়র্ক, প্যারিস এবং লন্ডন আছে। মর্ডান ওয়ার ফেয়ার ৩ গেমটির কাহিনী গড়ে উঠেছে একবারে মর্ডান ওয়ার ফেয়ার ২ গেমটির পর থেকেই, যেখানে রাশিয়ান ফেডারেশন এর দেশ গুলো আমেরিকা কে আক্রমণ করে এবং ইউরোপের দিকে যেতে থাকবে। এর মধ্যে থাকছে, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স এবং জার্মানি, এবং রাশিয়ানদের টার্গেট থাকবে, সোমালিয়া, সিরিয়ালিওন, মস্কো,এবং দুবাই এর দিকে।

রিলিজ হওয়া ট্রেইলার গুলো তে দেখা যায়, ডেল্টা ফোর্সের সদস্য রা একটি রাশিয়ান সাবমেরিন কে জোর করে দখল করে নেয় এবং অন্য একটি তে দেখা যায়, তারা নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ এ বসানো একটি রাডার জ্যামিং সেট আপ কে ধ্বংস করতে যাচ্ছে।
গেম প্লেঃ
মর্ডান ওয়ার ফেয়ার ৩ গেমটিতে থাকবে, এক নতুন ধরনের সার্ভাইভাল মুড। এ ধরনের সার্ভাইভাল মুড এ, গেমার কে একের পর এক ধাপ পার হতে হবে, যেখানে শত্রু দের ইন্টেলিজেন্সি তুলনামূলক ভাবে বাড়তে থাকবে এবং গেম প্লে কঠিন থেকে কঠিনতর হতে থাকবে। তবে অন্যান্য গেমের থেকে এখানে একটি বিশাল পার্থক্য দেখা যাবে, আর তা হচ্ছে, অন্যান্য গেমের মতন মর্ডান ওয়ার ফেয়ার ৩ গেমটিতে শত্রু দের অবস্থান নির্দিষ্ট থাকবে না।

আপনি একবার খেলে গেলে, যেখানে আপনার শত্রুদের দেখবেন, পরের বার খেলতে লাগলে, তাদের কে আর সেখানে নাও পেতে পারেন। এবং, সবচাইতে মজার ব্যাপার হবে, মর্ডান ওয়ার ফেয়ার ৩ গেমটিতে বেশির ভাগ সময় দেখা যাবে, আপনার শত্রুরা আপনার থেকে ট্যাক্টিক্যাল এডভান্টেজ পাওয়া যাবে, এমন জায়গাতে আছে।  এর মানে তো বুঝতেই পারছেন, আপনাকে অনেক অনেক এবং অনেক ঝামেলা করেই বিভিন্ন মিশন শেষ করতে হবে।

গেমার যখন বিভিন্ন মিশন শেষ করবে, এর উপরে তারা টাকা আয় করবে। প্রতিটি হেডশট, High Accuracy এবং নিজের যত কম ক্ষতি হবে, এগুলোর উপর নির্ভর করবে আপনি কেমন আয় করতে পারবেন। এই টাকা দিয়ে আপনি বিভিন্ন আপ গ্রেড যেমন, নতুন অস্ত্র, গোলা বারুদ কিনতে পারবেন।
চরিত্রঃ

বরাবরের মতন এবারও থাকছে, টাস্ক ফোর্স ১৪১  ক্যাপ্টেন জন ম্যাক্টাভিস (সোপ), প্রাক্তন এস এ এস ক্যাপ্টেন জন প্রাইস, এবং রাশিয়ান স্পাই নিকোলাই। মনে আছে জেনারেল সেপার্ড এর কথা ? না মনে থাকলেও ক্ষতি নেই, কেননা সেপার্ড মারা গেছে, কিন্তু এবার আপনাকে মুখোমুখি হতে হবে, রাশিয়ান আলট্রা-ন্যাশনালিস্ট ভ্লাদিমির ম্যাকারভ।

বেশ কিছু নতুন চরিত্র আছে, যাদের নিয়ে আপনাকে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন মিশন সম্পন্ন করতে হবে,  যেমন নিউইয়র্ক সিটির একজন ডেল্টা ফোর্স অপারেটিভ, যার নাম ডেরিক। সার্জেন্ট মার্কাস বারন্স, স্পেশাল এয়ার সার্ভিস – লন্ডন। এবং রাশিয়ান ফেডারেল সিকিউরিটি এজেন্ট, ইউরি।
একনজরে, মর্ডান ওয়ার ফেয়ার ৩ ঃ
ডেভেলপারঃ ইনফিনিটি ওয়ার্ড, স্লেজহ্যামার গেমস এবং মাল্টি প্লেয়ার ডেভেলপ করবে রেভেন সফটওয়্যার।
পাবলিশারঃ Activision
কম্পোসারঃ ব্রায়ান টেইলর।
প্লাটফোর্মঃ মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, প্লে স্টেশন ৩, এক্স বক্স ৩৬০
রিলিজ ডেটঃ ৮ই নভেম্বর ২০১১
জেনারঃ ফার্স্ট পারসন শুটার।
যা লাগবেঃ
যেহেতু গেমটি বের হতে অনেক দিন বাকি আছে, তাই ইন্টারনেট এ ডেভেলপার রা গেমটির স্পেসিফিকেশন ছাড়েননি। তবে অসমর্থিত ভাবে জানা গেছে; গেমটি খেলতে আপনার কম্পিউটার এ লাগবে,
পেন্টিয়াম ডুয়েল কোর E5500 – 2.8 GHz অথবা এএমডি, ফেনম ২, এক্স২ ৫৫০
এনভিদিয়া জিফোর্স জিটি ৩৪০ অথবা জিফোর্স ৮৮০০ জিটি অথবা রেডিওন এইচডি ৩৮০০, ৫১২ মেগাবাইট এর ভিডিও র‍্যাম।
৩ গিগাবাইট র‍্যাম
১২ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্পেস।
ডাইরেক্ট এক্স ৯ অথবা ১১।
উইন্ডোজ এক্সপি, ভিস্তা, সেভেন।
আশা করি গেমটি রিলিজ হলে আপনারা খেলবেন। আর আমার লিখাটি কেমন লাগলো আপনাদের কাছে, দয়া করে তা জানাতে ভুলবেন না।
সৌজন্যঃ ব্লগার নিশাত