মতোই দেখতে।
চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার সংবাদে জানা যায়, চীনে তৈরি ৪০ হাজারেরও বেশি নকল আইফোন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ২৫ জুলাই বেইজিংভিত্তিক নকল আইফোন নির্মাতা একটি প্রতিষ্ঠানে চীনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে নয়জনকে আটক করে। সরেজমিনে ঢাকার বাজারে ঘুরে জানা গেছে বাংলাদেশেও চীনে তৈরি এ ধরনের নকল আইফোন আসছে এবং বিক্রি হচ্ছে।
একাধিক বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ক্লোন আইফোন হাতে ধরে সহজেই বোঝা যায় যে এটি নকল। এগুলো ওজনে হালকা। কিন্তু রিকন্ডিশন্ড আইফোনগুলো দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই যে এগুলো আসল না নকল। এসব ফোনের দাম আবার একেক বাজারে একেক রকম। ক্লোন আইফোন ফাইভ, ফাইভ–এস এবং সিক্স বিক্রি হয় সাড়ে পাঁচ থেকে আট হাজার টাকায়। সে তুলনায় রিকন্ডিশন্ড আইফোন অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে। রিকন্ডিশন্ড আইফোন ফোরের দাম ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা। রিকন্ডিশন্ড আইফোন ফাইভ বিক্রি করা হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায়। তবে আইফোন সিক্সের রিকন্ডিশন্ড সেট এখনো বাজারে আসেনি।
কীভাবে তৈরি হয় রিকন্ডিশন্ড আইফোন? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আমদানিকারক জানান, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নষ্ট আইফোনের মাদারবোর্ড, খাপ (কেসিং) এবং বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। সেসব দিয়েই তৈরি হয় এই নকল আইফোন। নকল ব্যাটারি, নকল কেসিং, নকল ডিসপ্লে এমনকি আইফোনের আইএমই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি নম্বর) নম্বরটি মিলিয়ে অ্যাপলের আসল বাক্সের মতো হুবহু বাক্স তৈরি করা হয়। তারপর বিভিন্ন দেশের বাজারে সেগুলো পাঠানো হয়। মুঠোফোন ব্যবসায়ীরা জানান, নকল আইফোন মূলত বেশি বিক্রি হয় ইন্টারনেটে শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচার ওয়েবসাইটগুলোতে।
শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্রে জানা যায়, নকল আইফোন অবৈধভাবে বাজারে ঢুকছে। এসব সেট দুইভাবে আসে। অনেকে বিদেশ থেকে নিজের ব্যাগে (লাগেজ) করে নিয়ে আসেন। এ ছাড়া মালবাহী (কার্গো) বিমানের মাধ্যমেও এসব ফোন দেশে আসে। সে ক্ষেত্রে মুঠোফোন বা যন্ত্রাংশ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয় এগুলোকে।
যাঁদের অ্যাপলের পণ্য সম্পর্কে কোনো অভিজ্ঞতা নেই, তাঁরা সহজেই প্রতারিত হচ্ছেন এসব নকল পণ্য কিনে। নকল আইফোন দিয়ে ফোন করা বা ছবি তোলা গেলেও অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেম আইওএস ব্যবহার করা যায় না। বৈধ ক্রেতা না হওয়ার কারণে অ্যাপলের অনলাইন দোকান আই টিউনস ব্যবহার করা যায় না। ফলে দরকারি অ্যাপ এসব মুঠোফোনে নামানো যায় না। এসব নকল ফোনে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করে অ্যাপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রিকন্ডিশন্ড ফোনগুলো ব্যবহার শুরুর কিছু দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়।
বাংলাদেশে অ্যাপলের কোনো দোকান বা পরিবেশক নেই। পুনর্বিক্রেতা হিসেবে আছে চারটি প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো আই সেন্টার, অ্যালোহা আইশপ, কম্পিউটার সোর্স লিমিটেড ও এক্সিকিউটিভ মেশিনস লিমিটেড।
অ্যালোহা আইশপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু নাসের প্রথম আলোকে বলেন, ‘যাঁরা আইফোন ভেবে এগুলো কিনছেন তাঁরা পুরোপুরি ঠকছেন। এসব ফোনে আইওএস ব্যবহার করা যায় না। ইয়ারফোন এবং অ্যাডাপ্টরও নকল থাকে। সবচেয়ে মারাত্মক বিষয় হলো এগুলো দেখতে আসল ফোনের এতটা কাছাকাছি, যাঁদের আইফোন সম্পর্কে ধারণা নেই তাঁরা বুঝতেই পারবেন না।’
এখন আসি মূল কথায়,অনেকেই হয়তো মনে মনে বলছেন মিয়া এত আজাইরা পেচাল বাদ দিয়ে আসল কথা কন,দেখাইলেন আপেল খাওয়াবেন চানাচুর এইডা কিছু হয়ল ?খবর প্রথম আলোর
নারে দাদা আপেলই খাওয়াব।
ভুয়া আইফোন চেনার উপায়
খেয়াল রাখতে হবে বাক্সের গায়ে লেখা আইএমই ও ফোনের আইএমইআই ক্রমিক নম্বর এক কি না।
আইএমইআই বের করার নিয়ম সবাই জানি তারপরও বলি, *#০৬# চেপে ফোনের আইএমইআই নম্বর দেখে নিতে পারবেন।
তবে রিকন্ডিশন্ড ফোনে আইএমইআই অনেক সময় মিলতে পারে।
আর তাই http://www.iphoneimei.info ঠিকানার ওয়েবসাইটে আইএমইআই সাবমিট করলে ফোনের তথ্য পাওয়া যায়।