Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Ticker

6/recent/ticker-posts

যেভাবে ওয়ালটন, সিম্ফনি, মাইক্রোম্যাক্স সহ সব ধরনের চায়না ফোন তৈরি হয়

সবাইকে আমার আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি বর্তমান সময়ে বহুল ব্যবহৃত চাইনিস মোবাইল ফোনগুলোর ফ্যাক্টরি ম্যানুফেকচারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্স্তিারিত বর্ণনা সম্বলিত আমার আজকের টিউন।
চাইনিজ মোবাইল গুলো মুঠো ফোন ইতিহাসে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। ভালো ব্র্যান্ড এর ফোন
কোম্পানিগুলো যখন আকাশ ছোঁয়া দাম নিয়ে মোবাইল ফোন মার্কেটিং শুরু করেছিলো সেখানে অত্যাধুনিক ফিচার সম্বলিত চাইনিজ ফোনগুলো কম দামে বেশি সেবা নিয়ে মানুষের দুয়ারে পৌছে গিয়েছে। এছাড়াও অত্যাধুনিক মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম, ডুয়েল এবং ট্রিপল সিম ফিচারগুলো আমি চাইনিজ ফোনগুলোতেই প্রথম দেখেছি। ফোন যে শুধুমাত্র কথা বলার যন্ত্র না বরং এর চেয়েও বেশি কিছু সেটা চাইনিজ ফোনগুলো আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে। তবে বর্তমান সময়ের কথা যদি বলি তাহলে চাইনিজ ফোনগুলোর প্রাধান্য প্রায় সর্বত্রই। তাছাড়া কথিত নামি দামী ব্র্যান্ডগুলোর প্রোডাক্টও কিন্তু চাইনাতেই ম্যানুফেকচার করা হয়। বিশ্বাস না হয় ফোনের ব্যাটারীটা খুলে একবার তাকিয়ে দেখুন, মেইড ইন / মেইড বাই চায়না দেখতে পাবেন। যাহোক, আজকের টিউনগুলোতে চাইনিজ ফোনগুলোর কোন গুণকীর্তন নয় বরং কীভাবে এই ফোনগুলো তৈরী করা হয় সে বিষয়ে আলোচনা করবো। আশা করি আজকের টিউন থেকে চাইনিজ প্রোডাক্ট সম্পর্কিত আপনার যাবতীয় ধারনা আরও বেশি স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার হয়ে যাবে।

যেভাবে চাইনিজ মোবাইলফোনগুলো তৈরী করা হয়

বাজারে যে হারে চাইনিজ মোবাইলগুলো দেখা যায় তাতে অনেকের মনে হতে পারে যে মোবাইলগুলো কোন অটোমেটেড প্রসেস এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরী হয়। অথবা সম্পূর্ণ রোবটিক পদ্ধতিতে ফোনগুলো নিখুঁতভাবে তৈরী হয়। বাস্তবতা আমাদের ধারনার সাথে সব সময় মিলে যাবে এমন কোন কথা নেই। আর এক্ষেত্রে ধারনা বাস্তবতার সম্পূর্ণ বিপরীত। কারন চায়না ফোনগুলো টেস্টিং কিংবা ইনস্ট্রুমেন্ট মেকিং যন্ত্রের সহায়তাই করা হলেও ফোনগুলো অ্যাসেমব্লিং করা হয় সম্পূর্ণ মানুষের হাত দিয়ে। শত সহস্র কর্মীর হাতের স্পর্শে তৈরী হয় এই লক্ষ কোটি অত্যাধুনিক ডিভাইসগুলো। তবে ফোনগুলোর যন্ত্রাংশ সংযোজন, পরীক্ষা নিরীক্ষা থেকে শুরু করে কতোগুলো পর্যায়ক্রমিক ধাপ অনুসরণ করা হয়। যে সমস্ত বিষয় পর্যায়ক্রমিক ভাবে সংযোজন করা হয় সেগুলো নিম্নরূপ-
  • স্টোরেজ – এখানে সবগুলো যন্ত্রাংশ এক জায়গায় রাখা হয়।

  • ডিভাইস এসেমব্লিং – এখানে যন্ত্রাংশগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় সংযোজন করে সম্পূর্ণ ডিভাইস তৈরী করা হয়।

  • ডিভাইস টেস্টিং – বিভিন্ন অবস্থায় এবং ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতেতে মোবাইলগুলোর টিকে থাকার ক্ষমতা যাচাই করা হয়।
  • প্যাকেজিং – সব ঠিক থাকলে ডিভাইসগুলো বাজারজাত করার জন্য প্যাকেজিং করা হয়।

ইনস্ট্রুমেন্টস স্টোরেজ

অনেকগুলো ফোন যখন একঝাঁক কর্মীর সমন্বয়ে তৈরী করা হয় তখন প্রথম শর্ত দাড়ায় প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো হাতের কাছে গুছানো অবস্থায় থাকাটা। কারন একটা উপকরণ জায়গামতো পাওয়া না গেলে সমস্ত উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। যাহোক, যে সমস্ত কোম্পানি মোবাইল ফোন ম্যানুফেকচার করে তাদের প্রত্যেকটা হাউসে রয়েছে আলাদা স্টোরেজ সেকশন। যেখানে ফোন তৈরীর জন্য প্রত্যেকটা উপকরণ আলাদা আলাদা ভাবে নির্দিষ্ট জায়াগায় সাজানো থাকে। চলুন তাহলে এই স্টোরেজ সেকশনগুলো চিত্রের সাহায্যে দেখে নেওয়া যাক।
  • সম্পূর্ণ স্টোর হাউস, এখানে প্রত্যেকটা উপকরণ নামের ক্রম অনুসারে সাজানো থাকে।

  • ফোনের ক্যাচিং কিংবা ফ্রন্ট গ্লাসগুলো এভাবে সাজানো থাকে।

  • ফোন এর জন্য প্রয়োজনীয় ক্যামেরা এখানে এভাবে এক সাথে থাকে।

  • ফোনের মেইন সার্কিট, মাদারবোর্ড এভাবে সাজানো থাকে।

ফোন তৈরীর জন্য উপকরণ সংযোজন

আগেই বলেছি ফোনের প্রত্যেকটি উপকরণ আলাদা আলাদা ভাবে তাদের নির্দিষ্ট স্টোরেজে রাখা হয়। তারপর প্রত্যেকটা উপকরণ একসাথে সংযোজিত করে একটি ফোনের রূপ দেওয়া হয়। এর জন্য রয়েছে একদল কর্মী বাহিনী যারা একেকজন আলাদা আলাদা ভাবে ফোনের নির্দিষ্ট অংশ উপযুক্ত উপকরণ সংযোগের মাধ্যমে তৈরী করে থাকে। তবে অতি সুক্ষ এসব যন্ত্রাংশ সংযোজনে যেন কোন প্রকার ঝামেলা না হয় সে জন্য প্রত্যেকটি কর্মীর সামনে রয়েছে স্ট্রাকচারের ম্যানুয়েল। তারা সেগুলো দেখে যথাযথ ভাবে যন্ত্রাংশগুলোকে তাদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় সংযোজন করে।

এছাড়াও একটি সম্পূর্ণ ডিভাইস তৈরীর জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা হয়

অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টলেশন

  • সব কাজের শুরুতে ডিভাইসের মাদারবোর্ডে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা হয়। চিত্রে দেখানো যন্ত্রে একসাথে ৫-১০টি মোবাইলে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা হয়। এবার তাহলে সব কিছু একটার সাথে আরেকটা সংযোগের পালা।

যন্ত্রাংশ নির্দিষ্ট জায়গায় সংযোজন

  • ম্যানুয়েল দেখে যন্ত্রাংশগুলোর বক্স থেকে প্রয়োজন মতো নিয়ে সংযোজন করা হয়। এগুলো কর্মীরা কোন প্রকার যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া সম্পূর্ণ হাত দিয়ে করে থাকে। বাকী কাজগুলোও একই রকম হাতের ছোঁয়াতেই করা হয়।

  • ক্যামেরা, মাইক্রোফোন ইত্যাদি যন্ত্রাংশগুলো মাদারবোর্ডে সংযুক্ত করা হচ্ছে।

  • বিভিন্ন চিপ এবং রিবনগুলো যথাযথভাবে লাগানো হয়।

  • স্পর্শকাতর যন্ত্রাংশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় ফোম সাপোর্ট দেওয়া হয়।

সবগুলো যন্ত্রাংশের সঠিক সমন্বয়ের জন্য স্ক্রুয়িং করা

  • প্রত্যেকটা যন্ত্রাংশ তাদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় লাগানোর পরে সেগুলোকে স্ক্রু দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। এটাও ম্যানুয়েলি করা হয় কোন প্রকার অটোমেটিক প্রসেস ছাড়ায়।



ডাস্ট রিমুভিং এবং ফাইনাল টাচ

  • মোবাইল ফোনের কেচিং লাগানোর আগে ভালোভাবে চেক করা হয় যেন কোন প্রকার ধুলা ময়লা না থাকে। কারন ধুলা হলো ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের সবচেয়ে বড় শত্রু।

  • সব কিছু ঠিক মতো লাগানোর পরে ডিভাইসটি তার নির্দিষ্ট আকৃতিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হয়ে যায়। কিন্তু ডিভাইস প্রস্তুত হলেই তো আর সব শেষ হয় না। এবারতো ডিভাইসটি ঠিক মতো চলতে পারবে কিনা সেটা টেস্ট করা প্রয়োজন, তাইনা?

যথাযথ টেস্টিং এবং ফাইনালাইজিং

প্রথম দিকে যখন চায়না ফোনগুলো বাজারে আসে তখন অনেকের মনে ধারনা ছিলো যে চাইনা ফোনগুলো বেশিদিন টিকে না। অথবা ফোনগুলো খুবই হালকা প্রকৃতির, একটা সমস্যাতেই অক্কা পাবে। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা দেখি যে, চাইনা ফোনগুলো সম্পর্কে এসব ধারনা একদম ঠিক নয়। অন্যন্য ভালো ব্র্যান্ডের ফোনগুলোর মতোই চাইনা ফোনগুলো দীর্ঘদিন ভালো সার্ভিস দেয়। চাইনা ফোনের এরকম ভালো সার্ভিসের পেছনে যে কারনগুলো লুকিয়ে আছে সেগুলো হলো এরকম চমকপ্রদ এবং অতি উচ্চমানের টেস্টিং মেথড। ফোনগুলো এমন ভাবে তৈরী করা হয় যাতে বৈরী পরিবেশেও এটি টিকে থাকতে পারে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক, কী কী পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় ফোনগুলো টেস্ট করার জন্য।

ফোনের ডিসপ্লে এবং কালার চেকিং

  • ফোন চালু করার পরেই আগে ডিসপ্লে চেক করা হয়। কারন যদি ভালো ডিসপ্লে না হয় তাহলে স্মার্টফোন প্রায় মূল্যহীন। এজন্য কালার কম্বিনেশন, লাইটিং, স্বচ্ছতা এসব বিষয় যাচাই বাছাই করা হয়। সব ঠিক থাকলে পরবর্তি পরীক্ষা।

  • ফোনের কালার টিকভাবে আসে কিনা এটা চেক করার জন্য অন্য কোন স্ট্যান্ডার্ড ফোনের সাহায্যে দুটো ডিভাইসকে তুলনা করা হয়।

ব্যাটারী এবং সিম কার্ড চেকিং

  • ব্যাটারী এবং সিমকার্ড সংযোগের পর ফোন কাজ করে কিনা সেটা চেক করার জন্য ব্যাটারী এবং সিমকার্ড যুক্ত করে সেগুলো পরীক্ষা করা হয়।

কল এবং সাইন্ড চেক

  • যেহেতু গ্রাহকরা মোবাইল ফোনকে কল করার জন্যই ব্যবহার করে থাকে সেহেতু কল সিস্টেম চেক করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই কল এবং সাউন্ড সিস্টেম খুব যত্ন সহকারে চেক করা হয়।

  • কলের সাউন্ড ঠিক আছে কিনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

তাপ সহনীয়তার পরীক্ষা

  • ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস মাঝে মাঝে এমনিতেই গরম হয়ে যায়। তারপরে যদি ফোনগুলোকে অনেক বেশি তাপমাত্রায় রাখা হয় তাহলে দুর্ঘটনার সম্ভবনা খুব বেশি থাকে। তাই ফোনগুলোকে উচ্চ তাপের চেম্বারে রেখে তার তাপসহনীয়তা পরীক্ষা করা হয়। তবে সব ফোনকে একই রকম পরীক্ষা করা হয় না। প্রতি দশটা ফোনের একটাকে এরকম পরীক্ষার সম্মুখিন হতে হয়।

  • তবে শুধু উচ্চ তাপেই নয় বরং নিম্ন তাপের জন্যও ফোনগুলোকে পরীক্ষা করা হয়। কারন আমাদের দেশে উচ্চ তাপ সমস্যা থাকলেও অনেক দেশে এমনকি চায়নাতেও কিন্তু নিম্ন তাপের প্রভাব প্রবল।

ধুলা নিরোধক কিনা নিশ্চিত হওয়া

  • আগেই বলেছি ধুলা ময়লা হলো ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের বড় শত্রু। তাই ডাস্ট চেম্বারে রেখে ফোনগুলো ধুলা নিরোধক কিনা সেটা যাচাই করা হয়।

ঘাত সহনীয়তার পরীক্ষা

  • ফোনের স্ক্রিনের উপর কোন কিছু পড়ে গেলে অথবা ফোন কিছু দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হলে সেটি নষ্ট হবে কিনা সেটা যাচাই করা হয়। এর জন্য নির্দিষ্ট ভরের কিছু ওজনের সাহায্যে ফোনটিকে নিচের চিত্রে মতো আঘাত করা হয়। মজার ব্যাপার হলো এসব পরীক্ষাগুলোতে ফোনগুলো অনায়াসেই পাশ করে যায়।

  • এছাড়াও ফোনকে অনেক উপর থেকে বিভিন্ন ভাবে ফেলে দিয়ে ভেঙে যায় কিনা পরীক্ষা করা হয়।


ফ্লেক্সিবিলিটি পরীক্ষা

  • ফোনটা যদি ফোল্ডিং হয় তাহলে তার ফোল্ডিংগুলোর ফ্লেক্সিবিলিটি পরীক্ষা করা হয়। এখানে একটি যন্ত্রের সাহায্যে ফোনগুলোকে ক্রমাগত ফোল্ড এবং আনফোল্ড করে তার ফ্লেক্সিবিলিটি যাচাই করা হয়।


চার্জার, ব্যাটারী এবং দীর্ঘক্ষণ চার্জিং পরীক্ষা

  • এ পরীক্ষার মজাদার দিক হলো একটি পরীক্ষার মাধ্যমেই চার্জার, ব্যাটারী এবং দীর্ঘক্ষণ চার্জের ইফেক্ট পরীক্ষা করা যায়। নিচের চিত্রের মতো ফোনগুলোকে দীর্ঘক্ষণ ধরে চার্জ করার মাধ্যমে যাচাই করা হয়।

  • এছাড়াও ব্যাটারীগুলো ফোনের সাথে সংযুক্ত করার আগেও টেস্ট করা হয়। এভাবে সারি বেধে ব্যাটারীগুলোকে চার্জ করা হয়।

হেডফোন এবং তারের স্থিতিস্থাপকতা পরীক্ষা

  • হেডফোন এর তারগুলোকে একটি যন্ত্রের সাহায্যে দীর্ঘক্ষণ টেনে এবং মুভ করিয়ে তাদের স্থিতিস্থাপকতা পরীক্ষা করা হয়। যাতে এগুলো কোন অবস্থাতেই ছিড়ে না যায় কিংবা ডিসকানেক্ট না হয়।


তুলনামুলক স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন

  • সব শেষে একই মডেলের অন্য ফোনের সাথে নতুন তৈরী করা ফোনটি মিলে কিনা সেটা চেক করা হয়।

প্যাকেজিং এবং শিপমেন্ট

ফোন তৈরী এবং চেকিং এর ধাপগুলো শেষ। এখন তৈরীকৃত ফোনগুলোকে প্যাকিং এবং শিপমেন্টের পালা। এবং এখানেই সবথেকে আশ্চর্য তথ্যটি আপনাদের সামনে দেওয়া হবে। আমরা বাজারে যে সমস্ত চাইনা ফোন এবং তাদের কোম্পানির নামগুলো দেখি সেগুলো কিন্তু ফোন তৈরীর সময় থাকে না। পরে সেই নামগুলোকে লেবেলিং করা হয়। সেই দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে সবগুলো চাইনিজ ফোন মুলত একই জিনিস। তবে যন্ত্রাংশের মানের কোয়ালিটির কমবেশি থাকলে সেটা ভিন্ন কথা। শেষ পর্যায়ে এসে এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক প্যাকিং এর আদ্যপান্ত।

স্ক্রিন পেপার সংযোজন

  • ফোনের মেইন স্ক্রিনকে নিরাপদ রাখার জন্য এর উপর নতুন আরেকটি পাতলা স্ক্রিনপেপার সংযোজন করা হয়।

ফোনগুলোকে প্যাকিং এর জন্য নির্দিষ্টে বক্সে স্থানান্তর করা

  • ফোনগুলোকে প্যাক করার জন্য একটি নির্দিষ্ট বক্সে স্থানান্তর করা হয়। বক্সে স্থানান্তরের পরেই লেবেলিং করা হবে।

ফোন এবং ব্যাটারীগুলোকে লেবেলিং করা

  • যেহেতু যন্ত্রাংশগুলো আলাদা আলাদা সংযোজন করা হয় সেহেতু ফোনগুলো নির্দিষ্ট কোন কোম্পানির থাকেনা। পরে সেগুলোকে কোম্পানির নাম অনুসারে লেবেলিং করা হয়।

  • লেবেল লাগানোর পরে সেই ফোনকে আমরা লেবেলওয়ালা কোম্পানির ফোন বলে চিহিৃত করতে পারি।

প্যাকিং সেকশনে স্থানান্তর

  • ফোনগুলোকে লেবেল লাগানো শেষে এভাবেই সবগুলোকে এক সাথে কোম্পানির বক্সে প্যাকিং এর জন্য পাঠানো হয়।

নির্দিষ্ট কোম্পানির নামে প্যাকিং

  • এভাবে নির্দিষ্ট কোম্পানির বক্সে প্যাকিং শেষে ফোনগুলো শিপমেন্টের জন্য তৈরী হয়। চায়না এই ফোনগুলো হাতে পাবার জন্য এবং সেগুলো ব্যবহার করার জন্য আপনি তৈরী তো?

শেষ কথা