- ওডেস্কে কি করা হয়? (What to do on Odesk)
- ওডেস্কে কাজ শুরু করা: (Starting work on Odesk)
- লক্ষণীয় বিষয়াবলি: (Points to be noted)
- ওডেস্কে কাজ পাওয়ার উপায়: (How to get work on Odesk)
- ওডেস্কে প্রোফাইল সাজানোর উপায়: (How to design a attractive profile on Odesk)
- ওডেস্কে বিড করার টিপস: (Bidding Tips for ODesk)
- ওডেস্কে কাভার লেটার লেখার টিপস: (Writing Cover Letter for Odesk)
- কাজ শুরুর আগে জরুরি কথা: (Important Tips Before Starting)
- ওডেস্ক থেকে টাকা উত্তোলনের উপায়: (Money Withdrawal System of Odesk)
- এক্সপার্ট পরামর্শ: (Expert Tips)
ওডেস্ক একটি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট। এটি অনলাইনে ইনকাম –এর একটি মাধ্যম।
এখানে বিভিন্ন কাজের বিজ্ঞপ্তি দেয়া থাকে এবং আপনি আপনার পছন্দসই কাজ একটি
নির্দিষ্ট পরিমান চার্জ দিয়ে করতে বা করাতে পারেন। অর্থাৎ ওডেস্ক হলো মূলত
একটা মিডিয়া। কাজদাতার এবং কর্মীর মধ্যে পরিচয়, পারস্পরিক লেন-দেন করে
দেয়ার একটা মিডিয়া ওয়েবসাইট হলো ওডেস্ক।
Back to top
ওডেস্ক হচ্ছে একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেখানে সারা পৃথিবী থেকে
প্রায় ১ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে। সাইটটিতে প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য
“একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য” হিসেবে অথবা “প্রতি ঘন্টা কাজের জন্য অর্থ”
উভয় প্রকারের কাজ পাওয়া যায়।তবে ঘন্টা হিসেবে কাজের জন্য ওডেস্ক বেশি
জনপ্রিয়।
এই পদ্ধতিতে কাজ করে তুলনামূলকভাবে অন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো থেকে বেশি
অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। ওডেস্ককে আপনি একটি ভার্চুয়াল অফিসের সাথে তুলনা
করতে পারেন, যেখানে আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ে ইন্টারনেটে উপস্থিত থেকে কাজ
করবেন। ওই সময়ে আপনার কি কি কাজ করছেন তা আপনার চাকুরীদাতা (বায়ার) – এর
কাছে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর স্কিনশটের মাধ্যমে রিপোর্ট পৌছে যাবে। আপনি
যতক্ষণ কাজ করবেন ঠিক ততটুকু মূল্য আপনাকে পরিশোধ করা হবে। অতিরিক্ত সময়
কাজ করলে তার মূল্যও আপনি পাবেন। কমিশন হিসেবে এই সাইটের চার্জ হচ্ছে মোট
মূল্যের ১০%।
সাইটে লগইন করার পর Find Jobs ট্যাব থেকে আপনার পছন্দের কাজের বিভাগে
ক্লিক করুন। একটি প্রজেক্টের পৃষ্ঠায় প্রজেক্ট সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য
থাকে। প্রজেক্টে কাজ করতে চাইলে আপনাকে প্রজেক্টিতে আবেদন করতে হবে। তবে
সবকিছুর পূর্বে অবশ্যই আপনাকে Readiness Test দিয়ে তাতে উত্তীর্ণ হতে হবে।
অনেক প্রজেক্টে আবেদন করতে বিভিন্ন টেস্টের সার্টিফিকেট আপনার থাকতে হবে।
তাই যত বেশি টেস্ট দিবেন তত বেশি প্রজেক্টে আবেদন করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বায়ার আপনাকে নির্বাচিত করলে আপনার কম্পিউটারে “ODesk Team” সফটওয়ারটি চালু
করুন এবং লগইন করে কাজ শুরু করুন। চলুন তবে ওডেস্ক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত
কিছু জেনে নেয়া যাক।
Back to top
প্রথমত, ওডেস্কে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য এই লিংকে ক্লিক করুনঃ সাইন-আপ লিঙ্ক।
“I NEED A JOB” লেখা মেনুর নিচে “sign up” লেখা বাটনে ক্লিক করলে
রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম আসবে। এই রেজিস্ট্রেশন ফর্মের নির্দিস্ট ঘরগুলো পূরন
করলে আপনার প্রদত্ত ই-মেইল আইডি -তে একটি ই-মেইল যাবে, সেখানে ক্লিক করে
আপনার রেজিস্ট্রেশন কনফার্ম করতে হবে। আপনার ওডেস্ক একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়ত, এবার লগইন করে ডানদিকে থাকা “Edit Profile”
লিংকে ক্লিক করুন। যে পেজ আসবে সে পেজে সব তথ্যগুলো প্রদান করুন এবং আপনার
ছবি আপলোড করুন। আপনার প্রোফাইল কমপ্লিট হয়ে যাবে। প্রোফাইলে আপনার অতীতে
করা কাজের উদাহরণ যুক্ত করুন। এটাই ক্লাইন্টকে আপনার প্রতি আকৃষ্ট করবে।
১০০% কমপ্লিট করার জন্য আপনি যে কাজ করতে চান, সেই কাজের উপর টেস্ট দিন।
এখন কাজ শুরু করার জন্য আপনার প্রোফাইল সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে গেল।
Back to top
যেহেতু আপনি ওডেস্কের একজন নতুন ইউজার, তাই প্রোফেশনালি কাজ শুরু করার আগে
আপনার উচিৎ ওয়েবসাইটটির বিভিন্ন দিক ও বিষয়াবলি (অপশন গুলো) ভালো করে
পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রতিটি ভালো মত বিষয় বুঝে নেয়া। সর্বপ্রথম দেখুন কি কি
কাজ আছে এবং সেগুলোর বর্ণনা দেখুন। কি ধরনের কাজ থাকে সেটার একটা ভাল
ধারনা হয়ে যাবে।
উপরের বাম দিকে লেখা “Find Jobs” এ ক্লিক করুন। যে পেজ আসবে সেখানের বাম
দিকে বিভিন্ন ক্যাটাগরি দেখতে পারবেন। যে ক্যাটাগরিতে কাজ করতে চান, সেখানে
ক্লিক করুন। ডান দিকে সব কাজের লিস্ট বের হবে। সেখানে নীল রংয়ের লেখা
টাইটেলে ক্লিক করুন। তাহলে অন্য একটি পেজ আসবে। এ পেজটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
নিচে ছবির মাধ্যমে পুরো ব্যাপারটি এখানে বোঝানো হলোঃ
No-1: এখানে যে কাজটি ক্লাইন্ট আপনাকে দিয়ে করাবে তার বর্ণনা। এটি ভালভাবে পড়ে দেখুন, আপনার পক্ষে করা সম্ভব কিনা।
No-2: এখানে কাজটির সম্পূর্ণ বর্ণনা (Over View) দেয়া
থাকবে। যেমন, কাজটির ধরন কি তা এখানে উল্লেখ থাকবে। ঘন্টা ভিত্তিক হলে লিখা
থাকবে “Hourly”, ফিক্সড হলে লেখা থাকবে “Fixed”। তারপর থাকে Workload,
Duration (কতদিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে), Posted (কাজটি কবে পোস্ট
হয়েছে)। আরও অনেক কিছু থাকবে, পড়ে বুঝে নিতে হবে।
No-3: Preferred Qualifications: কাজটি করার জন্য
ক্লাইন্ট কি রকম যোগ্যতা সম্পন্ন লোক চাচ্ছে সেটা জানা যাবে। যেমন এ ছবিটি
দেখে বোঝা যাচ্ছে Feedback Score: 4.50, Odesk hours: At least 1 hour না
হলে এ কাজটি বিড করা যাবেনা। এখানে আরও দেখা যাচ্ছে ডান দিকে লেখা আছে
Client Activity on this Job। এখানে লেখা আছে, কত জন Applicants এখন
পর্যন্ত এই কাজে বিড করেছে, কতজনকে ক্লাইন্ট Interview এর জন্য ডেকেছে।
No-4: About the Client: এখানে আপনি বায়ার সম্পর্কে তথ্য
পাবেন। পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা, ক্লাইন্ট এখন পর্যন্ত কত ঘন্টা কাজ
করিয়েছেন। এগুলো সহ আরো তথ্য। যেটা জেনে আপনি ক্লায়েন্টের ব্যপারে একটি ভাল
ধারনা পাবেন। এখান থেকে জেনে নিন বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড (Payment
Method Verified) কিনা। পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড থাকার অর্থ হল আপনি এই কাজটি
করলে বায়ার আপনার পেমেন্ট দিতে বাধ্য থাকবে।
No-5: আপনার একাউন্টের জন্য নির্দিষ্ট ২০ টি বিড করার
কোটা আছে। এ জায়গাতে আপনি দেখতে পারবেন, আপনার কোটার কতটি এখনও বাকি আছে
অর্থাৎ এখনও কয়টি বিড করার সুযোগ বাকি আছে।
No-6: এবার যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে যে আপনি এই কাজে বিড করবেন, তবে এখানে এসে “Apply to this Job” বাটনে ক্লিক করুন।
Back to top
ওডেস্কে কাজ পাওয়া নির্ভর করে মূলত তিনটি বিষয়ের উপরঃ
(১) প্রোফাইল
(২) বিডিং কৌশল
(৩) কভার লেটার
চলুন এবার একে একে এই তিনটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
Back to top
ওডেস্কে বায়ার বা ক্লাইন্টকে আকর্ষন করার মত একটি প্রোফাইল (100% Profile) তৈরি করার জন্য নিচের বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবেঃ
১। TITLE: টাইটেলে আপনি যে কাজগুলো করতে চান সেগুলোর সুন্দরভাবে উল্লেখ
করুন যাতে যে কেউ বুঝতে পারে আপনি সেই কাজগুলোতে দক্ষ। এটা অনেক
গুরুত্বপূর্ণ। কারন এটাই আপনার নামের সাথে সবার প্রথমে ক্লাইন্ট দেখতে
পারবে। এটা দেখে ক্লাইন্টের পছন্দ করলে আপনার বাকি প্রোফাইল দেখতে আগ্রহ
বোধ করবে। যেমনঃ Software Development, Graphic and Web Design Experience,
Article Writing and Re-Writing Experience, Virtual Assistant with SEO,
Logo and Banner Design, Data Entry ইত্যাদি।
২। Hourly Rate: ঘন্টা চুক্তি ভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে, নতুনদের উচিৎ কম
রেটে বিড করা। তবে এমন কম নয় যেন মার্কেট নষ্ট হয়। সর্ব নিম্ন ৫ ডলার
করবেন, তাও প্রথম ফিড ব্যাক পর্যন্ত। এর পর বাড়াতে থাকবেন।
৩। Overview: ওভারভিউ সুন্দর করে লিখবেন। ভাল ভাল প্রোফাইলগুলো দেখেন।
সেগুলো থেকে আইডিয়া নিয়ে ভাল একটা ওভারভিউ লিখে ফেলুন নিজের প্রোফাইলের
জন্য।
৪। Skill : এখানে যা যা পারেন সব যোগ করুন।
৫। Employment History: এখানে আপনার চাকুরীর অভিজ্ঞতা উল্লেখ করুন। আপনি
Skill এ যা উল্লেখ করেছেন, তার কোন প্রমাণস্বরূপ কিছু উল্লেখ থাকলে ভাল হয়।
৬। Portfolio Projects: এখানে যত গুলো কাজ করেছেন সব উল্লেখ করুন। ভালো
ভালো প্রোফাইলে কিভাবে পোর্টফোলিও দেয়া থাকে দেখুন। সেভাবে করার চেষ্টা
করুন। যেমনঃ টাইটেলে ভালো একটা টাইটেল দিন, প্রজেক্ট সম্পর্কিত ক্যাটাগরি
সঠিক দিবেন অবশ্যই। প্রজেক্ট যদি লাইভ থাকে তাহলে প্রজেক্ট ইউ আর এল
(Project URL) দিবেন, ডেট দিবেন এবং সুন্দর বর্ণনা (Proper Description)
লিখবেন। আপনি যে যে কাজ করেছেন, সব উল্লেখ করবেন। কোন পি ডি এফ থাকলে সেটা
উল্লেখ করতে পারেন।
৭। Certifications: কোন সার্টিফিকেট থাকলে সেটা যোগ করবেন (সার্টিফিকেট পেতে টেস্ট দিতে হয়)।
৮। Test: আপনি যেই সংক্রান্ত কাজ করবেন সেই সম্পর্কিত সব টেস্ট দিবেন। দয়া করে কেউ ফেইল করলে সেই টেষ্ট প্রোফাইলে দেখাবেন না।
এখানে শুধুমাত্র যেগুলো আপনার কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাবিত করবে, সেগুলো
উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি সবগুলো তথ্য দিয়ে আপনার প্রোফাইল অবশ্যই ১০০% করে
ফেলুন।
Back to top
১। যে কাজটির জন্য বিড করবেন, সেটার বর্ণনা ভালভাবে পড়ে বুঝে নিন।
২। যে কাজে বেশি বিড হয়নি, সেগুলোতে বিড করবেন, কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা
প্রচুর বেড়ে যাবে। যদি আপনার প্রোফাইল নতুন হয়, তাহলে আপনার এ নিয়ম ভালভাবে
পালন করতে হবে।
৩। এক সপ্তাহে আপনি সর্বোচ্চ ২০টি বিড করতে পারবেন। সুতরাং আপনার এ কোটা
ভালভাবে বুঝে ব্যবহার করবেন। শুধু শুধু বিড করে আপনার কোটা নষ্ট করে কোন
লাভ নেই।
৪। খুব বেশি অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন, যাতে ক্লাইন্ট আপনাকে কোন মেসেজ দিলে সেটার উত্তর দিতে দেরি না হয়।
৫। বিড করার আগে অবশ্যই ক্লায়েন্টের প্রোফাইল চেক করে নিবেন। ক্লায়েন্টের প্রোফাইল চেক করার সময় যে যে বিষয় লক্ষ্য করবেন:
- ক্লায়েন্টের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা।
- ক্লাইন্ট এখন পর্যন্ত কত ঘন্টা কাজ করিয়েছেন।
- আপনি যে ধরনের কাজে বিড করছেন, সে ধরনের কাজ ক্লাইন্ট আগে করিয়ে থাকলে সেটা কত রেটে করিয়েছেন, তা দেখতে হবে। সে অনুযায়ি আপনি বিড করবেন।
৬। আগের একটি ছবিতে “Apply to this Job” নামের একটি বাটন দেখেছিলেন,
সেখানে ক্লিক করলে যে পেজ আসবে সেখানে Propose Terms নামে যে বক্স আছে
সেখানে Paid to You -এর ডান পাশের বক্সে ডলারের পরিমাণ লিখুন, মানে কত
ডলারে আপনি কাজটি করতে চাচ্ছেন। ঘণ্টাভিত্তিক (Hourly) কাজ হলে প্রতি
ঘণ্টায় কত ডলার হারে কাজটি করতে চাচ্ছেন, তা লিখুন। তারপর Cover Letter
বক্সে একটি কভার লেটার লিখুন। এ-সম্পর্কিত কোনো কাজ আগে করে থাকলে তা
উল্লেখ করতে পারেন। অ্যাটাচমেন্ট (Attachment) -এ যে কোন ফাইল (আগে থেকে
করা কোনো কাজের Sample) আপলোড দিতে পারেন, দিলে ভাল হবে। এখন Agree to
Terms: বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Apply to this Job বাটনে ক্লিক করুন। নতুন
পেজ এলে Yes, I Understand বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue to Apply বাটনে
ক্লিক করুন।
Back to top
কভার লেটার লিখার ক্ষেত্রে লক্ষণীয়ঃ
ক) খুব সুন্দর ইংরেজী ব্যবহার করে, বড় কোন কিছু লেখাকে ভাল কভার লেটার বলেনা।
খ) কাজটি পারলে ক্লাইন্টকে একলাইনে লিখুন যে আপনি কাজটি পারবেন, তাহলে
ক্লাইন্ট খুশি হবে সবচাইতে বেশি। বড় কভার লেটার দেখলে ভয়ে সে আর সেটা নাও
পড়তে পারে।
গ) মনে মনে নিজেকে ক্লাইন্ট ভাবুন। এবার ভাবুন, আপনাকে কেউ কিভাবে বললে আপনি কাজটি টাকা খরচ করে করবেন।
ঘ) ক্লাইন্টের কাছে ভিক্ষা চাওয়ার দরকার নাই। তাহলে ক্লাইন্ট আপনার
যোগ্যতা নিয়ে সন্দেহে পড়ে যাবে। কাজটি পারার ব্যাপারে কনফিডেন্ট প্রকাশ
করুন।
ঙ) অন্যের কভার লেটার নিজে ব্যবহার করবেননা। আপনি ইংরেজী কম জানলেও না।
ধরুন, আপনি খুব ভাল ইংরেজী পারে এমন কাউকে দিয়ে আপনার কভার লেটারটি
লেখালেন। ক্লাইন্ট কাজ দেয়ার আগে আপনাকে ইন্টারভিউতে ডাকবে। তখন দেখল আপনার
ইংরেজী লেখার ধরন অন্যরকম, তখন শুরুতেই আপনাকে ভন্ড ভেবে নিবে। সেজন্য
কাজটি আর আপনি পাবেননা।
চ) নিজের একই কভার লেটার (Common Cover Letter) বারবার ব্যবহার করবেননা। অর্থাৎ যা লিখবেন, লাইভ লিখবেন।
ছ) বেশি কথা না বলে আপনার কাজের স্যাম্পল দিন। এটি আপনার ৫০০০ লাইনের কথা বলার সমান কাজ করে দিবে।
জ) কভার লেটারে নিজের গুনগান গেয়ে কিংবা করুণা ভিক্ষা চেয়ে ক্লাইন্টকে
আকর্ষণ করার চেষ্টা করবেননা। প্রজেক্টটি যে রকম, সে অনুযায়ি ভালভাবে কাভার
লেটার তৈরি করুন।
ঝ) কখনো ভুলেও আপনার ই-মেইল, স্কাইপ আইডি, ইয়াহু, এগুলো কাভার লেটারে
দেওয়া যাবে না। ক্লায়েন্ট আপনাকে নক করলে শুধুমাত্র তখনি আপনার কন্টাক্ট
ডিটেইলস তাকে দিবেন।
ঞ) কাজটিতে যদি ক্লাইন্টের বিশেষ রিক্যুয়ারমেন্ট থাকে সেক্ষেত্রে রেট না
কমিয়ে কাজের Sample বা পারফর্মেন্স দেখিয়ে বিড জেতার চেষ্টা করুন। অন্যদিকে
যদি সহজ কাজ হয়, যেখানে আপনি বুঝতেই পারছেন বায়ার মূলতঃ কম বাজেটে কাজটি
করাতে চাচ্ছে, সেক্ষেত্রে বিডের এমাউন্ট কমিয়ে দিন।
ট) ক্লাইন্ট যদি আপনাকে নক করে, তবে প্রাইভেট ম্যাসেজ বা PMB (Private
Message) –এ আপনি কাজটির বাজেট ও বিড সম্পর্কে আপনার অভিমত দিন। প্রাইভেট
ম্যাসেজ লেখার ২টি নমুনা হল, এর যেকোনোটি দিয়ে আপনি আপনার ক্লাইন্টের সাথে
আলাপচারিতা শুরু করতে পারেনঃ
- I’m ready to work with your asking budget.
- Please tell me your actual budget; I’m ready to work with cheap rate.
উৎকৃষ্ট কাভার লেটারের গঠনঃ
ক) কাভার লেটারে স্যার বলে সম্বোধন করবেন না। এটি বাংলাদেশীরা পছন্দ করে,
বিদেশীরা পছন্দ করে না। সম্বোধনের ক্ষেত্রে Hi বা Hello ব্যবহার করুন।
খ) প্রজেক্টটি পড়ে আপনি যে ক্লাইন্টের চাহিদা ভালভাবে বুঝেছেন, সেটি লেটারের প্রথমেই বোঝানোর জন্য কোন লাইন লিখতে পারেন।
গ) এবার বোঝানোর চেষ্টা করুন, আপনার পক্ষে যে কাজটি করা সম্ভব।
ঘ) এ ধরনের কাজের ব্যপারে আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা উল্লেখ করুন।
ঙ) ক্লায়েন্টের রিপ্লাইয়ের জন্য আপনি অপেক্ষা করছেন, এ ধরনের কোন লাইন লিখুন।
চ) ধন্যবাদ সহকারে নিজের নাম উল্লেখ করে শেষ করুন লেটারটি।
ছ) কাভার লেটারের উদাহরণঃ
Hi,
I am interested to do your project. I can provide you more than ___
facebook likes within ___ days. I have more than ___ facebook friends
and also have many facebook groups, page etc. So I think that I can do
your project properly on time. I am waiting for your nice response.
Thank you.
Online Dhaka Guide
|
Back to top
ঘণ্টাভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে এখানে ক্লিক করে ওডেস্ক টিম সফটওয়্যারটি ডাউনলোড
করে নিয়ে পিসিতে ইন্সটল করুন। এবার কাজ শুরু আগে কাজটি সিলেক্ট করে
Start-এ ক্লিক করুন। দেখতে পাবেন, কাজের সময় গণনা শুরু হয়ে গেছে।
সফটওয়্যারটি কিছুক্ষণ পরপর আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিণশট নিবে, সাথে সাথে
সেটা আবার ক্লাইন্টের কাছে পাঠিয়ে দিবে। কাজ শেষ হলে ক্লাইন যখন আপনাকে
পেমেন্ট দিয়ে চুক্তি শেষ করবেন, তখন আপনার কাছে একটি নোটিফিকেশন আসবে
“____(ক্লাইন্টের নাম) ended your contract”। এবার ক্লাইন্ট ফিডব্যাক দিবে,
আপনাকেও দিতে হবে ক্লাইন্ট সম্পর্কিত ফিডব্যাক। পূর্ণমান ৫ –এর মধ্যে এ
ফিডব্যাক হয়। উভয় পক্ষ ফিডব্যাক দিলেই কেবল একজন অপরেরটা দেখতে পাবেন।
ভালো ফিডব্যাক পেলে পরবর্তীকালে বেশি কাজ পেতে সুবিধা হয়। বাজে ফিডব্যাক
পেলে সেটি মুছে ফেলতে পারবেন, তবে এজন্য আপনাকে ঐ ক্লাইন্ট থেকে প্রাপ্ত
পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দিতে হবে)। আপনি যদি ক্লাইন্টের পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দেন,
তাহলে আপনার প্রোফাইলে ওই বাজে ফিডব্যাক আর দেখা যাবে না। নোটিফিকেশন
পেইজে Give Refund-এ ক্লিক করে আপনি ক্লাইন্টকে পেমেন্ট ফেরত দিয়ে দিতে
পারবেন। বায়ার আপনাকে পেমেন্ট দেওয়ার পর সেই পেমেন্ট এক সপ্তাহের মতো
পেন্ডিং থেকে তারপর আপনার ওডেস্ক একাউন্টে জমা হবে। আপনার বর্তমানে
ব্যালান্স কত আছে এবং পেনডিং-এ কত আছে, সেটি জানার জন্য Transaction
History -তে ক্লিক করুন।
Back to top
- আপনার ব্যাংক একাউন্ট থাকলে আপনি সরাসরি সেই একাউন্টে ওডেস্ক থেকে টাকা ট্র্যান্সফার করতে পারেন অথবা মানি বুকার্স (Moneybookers বা Skrill) থেকে টাকা উত্তোলন করা সম্ভব।
- ব্যাংক একাউন্টে টাকা সরাসরি ট্র্যান্সফারকে বলা হয় “ওয়্যার ট্র্যান্সফার”। এজন্য আপনার বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকের একাউন্ট থাকতে হবে। ওডেস্কে গিয়ে Wallet থেকে add withdrawal method এ ক্লিক করুন। এখান থেকে Local Fund Transfer এ ক্লিক করুন। Bank SWIFT Code চাইবে। সেখানে আপনার ব্যাংকের সুইফট কোড দিয়ে Go তে ক্লিক করুন। দেখবেন অটোমেটিকভাবে ঐ ব্যাংকের ঠিকানা প্রদর্শন করছে। ব্যাংক ও ব্যাংকের শাখা ভেদে এই সুইফট কোড ভিন্ন ভিন্ন হয়। আপনার কাঙ্ক্ষিত সুইফট কোডটি জানতে এখানে ক্লিক করুন। এখান থেকে কাঙ্ক্ষিত সুইফট কোড বাছাই করুন। এরপর, নিচের দিকে আপনার কাঙ্খিত সমস্ত তথ্য দিয়ে সাবমিট করুন। একাউন্ট নাম্বারের স্থানে আপনার একাউন্ট নম্বর দিয়ে, ব্রাঞ্চ এবং ব্রাঞ্চ এড্রেস এর জায়গায় আপনি যে উপজেলা ব্রাঞ্চ এর আওতাধীন ঐ ব্রাঞ্চের নাম ও ঠিকানা দিন। পরবর্তী ফিল্ড গুলো পূরণ করুন। এবার Add this account –এ ক্লিক করুন। আপনার একাউন্টটি ওডেস্কে অ্যাড হয়ে যাবে। তিন দিন সময় নিবে একাউন্টটি একটিভ হতে। একটিভ হয়ে গেলেই উইখড্রো দিতে পারবেন। ডলার সরাসরি টাকায় কনভার্ট হয়ে আপনার ব্যাংকের একাউন্টে জমা হবে। এতে আপনার একাউন্ট থেকে পাঁচ ডলার ট্রানজেকশন ফি বাবদ কাটা হবে।
- মানি বুকার্সে টাকা উত্তোলন করতে সেখানে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর একইভাবে ব্যাংক একাউন্ট মানি বুকার্সে অ্যাড করতে হবে। একই সাথে মানি বুকার্স একাউন্টটি আবার ওডেস্কের সাথে অ্যাড করতে হবে। ওডেস্ক থেকে মানি বুকার্সে টাকা পাঠাতে কোনো ট্রানজেকশন ফি কাটে না, তবে মানি বুকার্স থেকে ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্র্যান্সফারের জন্য ৪.৯৯ ডলার চার্জ করা হয়। মানি বুকার্সে ডলার রাখার সুবিধা হল, আপনি চাইলেই আপনার ডলার অন্য কারও কাছে (যার মানি বুকার্সে একাউন্ট আছে) বিক্রি করে দিতে পারেন। আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে গেলে অনলাইনে এমন অনেক লোক পাবেন যারা মানি বুকার্সে ডলার কেনা-বেচা করে। আপনার যদি কখনও অতি জরুরিভাবে ডলার ভাঙ্গানোর প্রয়োজন পরে, সেক্ষেত্রে আপনি এমন কারও কাছে আপনার ডলার বিক্রি করতে পারেন। এজন্য আপনাকে এ ধরনের লোকের আইডি গুলো সংরক্ষণে রাখতে হবে যেন দরকারে কাজে লাগে। তবে একটি সমস্যা হল এভাবে ডলার বিক্রি করলে তারা আপনার কাছ থেকে ডলার প্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা (এর কম বা বেশি হতে পারে) কম রেটে কিনবে। অর্থাৎ, আপনি যখন ডলার বিক্রি করবেন তখন যদি ডলার প্রতি মূল্য ৭৯ টাকা (মার্কেট প্রাইজ) হয়, তবে ঐ মূহুর্তে ডলার বায়ার আপনাকে ডলার প্রতি মূল্য ৭৪.৫ বা ৭৫ টাকা দিতে পারে। এই ক্ষতির পরও আপনার বড় সান্ত্বনা হল যে টাকা পেতে আপনাকে আর তিন দিন অপেক্ষা করা লাগলো না।
Back to top
১। আপনার প্রোফাইল ১০০% করুন।
২। আপনার প্রোফাইলে সুন্দর একটি Title এবং Overview ঠিক করুন।
৩। আপনার Skills এবং Employment History ভালভাবে যুক্ত করুন।
৪। আপনার নিজের করা সেরা কাজগুলো (Image ও Link) যুক্ত করুন প্রোফাইলে।
৫। আপনার দক্ষতা অনুযায়ি প্রোফাইনটি সাজান এবং সে ধরনের কাজগুলোতে বিড
করুন। যেটি বিড করতে চাচ্ছেন, সেটি প্রোফাইলে না থাকলে কাজটি পাবেননা, তাই
অযথা একটি বিড নষ্ট করবেন না।
৬। কাউকে কপি করবেন না- প্রোফাইল তৈরিতেও না, কভার লেটার লিখার ক্ষেত্রেও
না। নকল করার ক্ষেত্রে সাবধান। আপনার একাউন্ট পর্যন্ত বাদ হয়ে যেতে পারে।
৭। নতুন কাজে বিড করুন। ৪ থেকে ৫ জনকে ইতিমধ্যে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়ে গেলে সেই কাজটি পাওয়ার সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ।
৮। শুরুতে ছোট ছোট কাজ করে ফিডব্যাক সংগ্রহ করুন।
৯। কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে ইমোশনালি ক্লাইন্টকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করলে কাজ পাবেননা।
১০। বিডিং রেট বাজার রেটের চাইতে অস্বাভাবিক কমালে কাজ না পাওয়ার সম্ভাবনা
বেশি থাকে, তাতে আপনার ব্যাপারে ক্লাইন্টের নেতিবাচক ধারনা তৈরি হবে।
১১। বিড শুরু করার আগে ক্লাইন্টের রেটিং, পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা চেক করে নিন।
১২। আপনার পোর্টফোলিও হালনাগাদ করুন।
১৩। অবশ্যই আপনার স্কাইপ একাউন্ট, জি মেইল একাউন্ট ও ইয়াহু একাউন্ট রেডি
করুন। কেননা ক্লাইন্ট আপনার সাথে যেকোনোটি দিয়ে যোগাযোগ করতে চাইতে পারে।
১৪। ওডেস্ক একাউন্ট থেকে টাকা উত্তওলনের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
কেননা, এক্ষেত্রে সামান্যতম ভুল আপনার বড় রকমের ক্ষতি করতে পারে। তাই
প্রয়োজনবোধে আপনার পরিচিত কোনো এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সারের পরামর্শ নিন অথবা
অনলাইন ঢাকা গাইডের হেল্প ডেস্কে যোগাযোগ করুন।
১৫। সর্বপরি, ধৈয্য ও অধ্যাবসায় খুব জরুরী। একদিনে কাজ পাওয়ার আশা না করে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।