ট্রিক্স জানতে পারবেন।
RamDisk কেন ব্যবহার করবেন?
মোটামুটি সবাই জানি, র্যাম একটি ভার্চুয়াল মেমোরি! এটিতে অস্থায়ী ভাবে ডাটা সংরক্ষণ করা যায়। রিস্টার্ট/শাটডাউন দিলে কোন তথ্যই সেভ থাকে না। এসব সাধারণ জ্ঞান ক্লাস টু-থ্রীর পড়া! আমরা এই অস্থায়ী ভাবে ডাটা সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে র্যামকে হার্ডডিস্ক বানিয়ে ফেলবো অর্থাৎ আপনার র্যামের কিছু অংশ দখল হয়ে ভার্চুয়াল ডিস্ক ড্রাইভ তৈরি হবে। এখন হয় তো কিছুটা বুঝলেন! আবার প্রশ্ন করতে পারেন, পিসিতে HHD/SSD হার্ডডিস্ক তো আছেই, তাহলে এক্সট্রা র্যাম ডিস্ক দিয়ে কি লাভ??
লাভ আছে! র্যাম ডিস্ক তৈরি করে কত সুবিধা পাবেন, তা ব্যবহার করলেই বুঝবেন। প্রথম কথা হল- আপনার র্যাম যদি ৪ জিবি হয়, তাহলে, আপনার পিসিতে নরমাল ভাবে ব্যবহৃত হয় ১.৫ জিবি এর মত। আর ড্রাইভ রিসার্ভ ছাড়া বাকি ২ জিবি ফ্রী পরে থাকে। এখন আপনি চাইলে এইটাকে অস্থায়ী ২ জিবি হার্ডড্রাইভ বানাতে পারবেন। তখন র্যামে লোড নিবে ১.৫+২ জিবি এর মত, এটা আপনার ব্যবহারের উপর নির্ভর করবে।
নিচের ছকটি লক্ষ্য করুন-
সাধারণভাবে বলতে পারি আমাদের হার্ডডিস্কের চেয়ে র্যামডিস্কের স্পীড প্রায় ৩ গুণ বেশি! এতে ওই ভার্চুয়াল ড্রাইভে কোন ডেটা রাখলে, তা ট্র্যান্সফার স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি গতিতে করতে পারবেন। এছাড়া, কোন আপ্লিকেশন র্যামডিস্কে ইন্সটল করলে, তা খুব দ্রুত লোড নিবে এবং কাজেও দ্রুত প্রসেস করবে। উদাহরণস্বরূপ- আপনি Adobe Photoshop 14, বা Internet Security ইন্সটল করলেন র্যামডিস্কে, তাহলে রিসার্চ করলে পাবেন, ফটোশপ খুব দ্রুত লোড নিবে হার্ডডিস্কের তুলনায়! এতে থেকে বোঝা যায় লোড টাইম শুরু র্যামের উপর নয়, ডিস্কড্রাইভের উপরও নির্ভর করে। আর সেই ক্ষেত্রেHDD এর তুলনায় RamDisk অনেক ভালো কাজ করে। আজ এই পর্যন্তই অনেক আলোচনা করলাম। আগামীতে এইসব নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণবিসয় আলোচনা করা হবে।যাই হোক,
১। প্রথমে এখান থেকে RamDisk ডাউনলোড করে নিন। সাইজ- ২.২ এমবি। ফুল ভার্সন।
২। সফটওয়্যারটি ইন্সটল করুন। এরপর রান করুন।
৩। উপরের ছবির মত Disk size প্রয়োজন 500 MB এর মত সিলেক্ট করুন। [ সাবধান! অতিরিক্ত মাত্রায় সাইজ বাড়াবেন না, নয়তো পিসি স্লও হয়ে যাবে
৪। পার্টিশনে Fat32 Paetitison সিলেক্ট করুন।
৩। বুট সেটিংস এ windows boost sector সিলেক্ট করুন।
৪। এরপর Start RAMDisk এ ক্লিক মারুন। একটি উইন্ডোতে ইন্সটলার আসবে, সেটি ইন্সটল করে নিন।
৫। সর্বশেষে, কিছুক্ষণ পর Computer এ একটি ভার্চুয়াল ডিস্ক ড্রাইভ তৈরি হয়ে যাবে। যা হার্ডডিস্কের তুলনায় অনেক দ্রুত প্রসেস করতে পারবে।
৬। এখন এই RamDisk এ আপনি যেকোনো এপ্লিকেশন, গেম, ডেটা ফাইল রেখে দ্রুত প্রসেস করতে পারবেন। মনে রাখবেন, পিসি রিস্টার্ট বা শাটডাউন দিলে, সব ডেটা মুছে যাবে। এক্ষেত্রে ফাইল Load/Save রাখতে পারেন।
আজ তাহলে এখানেই শেষ করলাম। ধন্যবাদ সবাইকে।